দুর্নীতির মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমকে ১৩ বছর কারাদণ্ড দেয়া বিচারিক আদালতের কাছে থাকা সব নথি তলব করেছে হাইকোর্ট।
আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭কে এসব নথি পাঠাতে বলা হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। হাজী সেলিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।
পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান নিউজবাংলাকে বলেন, হাজী সেলিমকে ১৩ বছর সাজা দিয়ে বিচারিক আদালতের দেয়া রায় এবং মামলার সব নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। ৭ ডিসেম্বররের মধ্যে সব নথি পাঠাতে বলা হয়েছে।
বিচারাধীন থাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন মামলাটি দ্রুত শুনানি করতে হাইকোর্টে আবেদন জানায় দুদক।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে লালবাগ থানায় ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
ওই মামলায় ২০০৮ সালে বিচারিক আদালত তাকে ১৩ বছর কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাজী সেলিম হাইকোর্টে আপিল করে। হাইকোর্ট ২০১১ সালে তাকে খালাস দেয়।
খালাস আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। দুদকের আপিল শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করে রায় দেয়।
রায়ে হাজী সেলিমের আপিল আবেদনটি হাইকোর্টকে নতুন করে শুনানি নিয়ে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর এই মামলাটি আর শুনানি হয়নি। এখন একে দুদক দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করায় নথি তলবের এ আদেশ দেয়।