দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাসহ ২৪ জনকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তলব করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা শামীম হোসেন, কানুনগো নুরুল ইসলাম, সার্ভেয়ার মো. জিয়াউর রহমান, আশরাফুজ্জামান ও সাবেক কানুনগো বাবুল বাতেনকে ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
তা ছাড়া সাবেক জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাসহ ১৯ জনকে ১৫ থেকে ২২ নভেম্বরের মধ্যে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২-এ সশরীরে হাজির হওয়ার নোটিশ দেয়া হয়েছে।
তারা হলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এলও) রেজাউল করিম, অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এএলও) মোশাররফ হোসেন, বিজয় কুমার সিংহ, কানুনগো আব্দুল খালেক, আব্দুর রহমান, বসন্ত কুমার চাকমা, সার্ভেয়ার রাসেল মাহমুদ মজুমদার, কবির আহমেদ, ক্যাশব লাল দে, পরিমল চন্দ্র দাশ, তহশিলদার জয়নাল, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী এহসান কুতুবী আবুল হাশেম প্রমুখ।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলায় চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথম কাজ ভূমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে ‘দালালদের’ সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। ‘এসব দালাল’ জমির মালিকদের নাম দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে সরকারের কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিষয়টি নজরে আসার পর দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে অনুসন্ধানে নামে।
অনুসন্ধানের শুরুতেই দুদক ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ ওয়াসিম নামের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার এক সার্ভেয়ারকে টাকাসহ আটক করে। তার দেয়া তথ্যেরভিত্তিতে ২২ জুলাই মো. সেলিম উল্লাহ, ৩ আগস্ট মোহাম্মদ কামরুদ্দিন ও সালাহ উদ্দিন নামের তিন ‘দালালকে’ আটক করে দুদক। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকার চেক ও ভূমি অধিগ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ মূল নথি উদ্ধার করা হয়।
দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন জানান, নিজস্ব অনুসন্ধান ও আটক ‘দালালদের’ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে শতাধিক ‘দালালের’ সন্ধান পাওয়া গেছে।
এখন যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত ‘দালালদের’ বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।