বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আড়াই মাস ধরে পেটে গজ

  •    
  • ১১ নভেম্বর, ২০২০ ০৯:৩৯

সবুজ মিয়া জানান, তিন বার চিকিৎসক খালেকের কাছে যাওয়ার পরও কোনো সমাধান মেলেনি। অবশেষে স্ত্রীকে নিয়ে বরিশাল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে থেকে জানতে পারেন, তার স্ত্রীর পেটের ভেতর গজ থেকে গেছে।

বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের তেতুলবাড়িয়া এলাকার তরুণী রীমা আক্তার। চার বছর আগে তার বিয়ে হয় একই উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের সোনার বালা এলাকার সবুজ মিয়ার সঙ্গে। সবুজ রাজধানীতে স্যানিটারি মিস্ত্রির কাজ করেন।

চলতি বছরের ২০ আগস্ট বরগুনার ডক্টরস কেয়ার ক্লিনিকে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন রীমা। অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক আবদুল খালেক। ২৭ আগস্ট তাকে ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল।

হাসপাতাল ছাড়ার পর দিন দিন বাড়তে থাকে রীমার পেটের ব্যথা। চিকিৎসকের কাছে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানানো হয়, ‘সিজার পরবর্তী সাধারণ সমস্যা’। এরপরও ব্যথা না কমায় আবারও একই চিকিৎসকের কাছে যান রীমা। এবারের উত্তর ‘শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক’।

এভাবে এক মাস কেটে যায়। পেট ব্যথা ভালো তো হয়ই না; বরং সেলাইয়ের জায়গায় সংক্রমণ হয়ে যায়। চিকিৎসক বলেন, ‘রোগীর অন্য কোনো সমস্যা আছে, সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের জন্য সেটা বেড়েছে।’

আড়াই মাস পর অবস্থা বেগতিক দেখে অন্য চিকিৎসকের কাছে যান রীমা। তিনি জানান, পেটের ভেতর গজ রেখেই তার সেলাই করা হয়েছে।

সবুজ মিয়া জানান, তিন বার চিকিৎসক খালেকের কাছে যাওয়ার পরও কোনো সমাধান মেলেনি। অবশেষে স্ত্রীকে নিয়ে বরিশাল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে থেকে জানতে পারেন, তার স্ত্রীর পেটের ভেতর গজ থেকে গেছে, অস্ত্রোপচার করতে হবে। কিন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অস্ত্রোপচারে দেরির কথা জানালে বরিশাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করান।

সবুজ আরও বলেন, ১ নভেম্বর স্পেশালাইজড হাসপাতালের চিকিৎসক দীপক চন্দ্র কীর্তনিয়া তার স্ত্রীর পেটের ভেতর থেকে অস্ত্রোপচারের সময় ব্যবহার করা গজ বের করেন। রীমা বর্তমানে বরিশালে চিকিৎসাধীন। তবে চিকিৎসক খালেক এখন তার স্ত্রীকে অস্ত্রোপচারের বিষয়টি অস্বীকার করছেন।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে ওই ক্লিনিকের সামনে মানববন্ধন করেছেন রোগীর স্বজনরা। তারা ওই চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।  

আবদুল খালেককে মুঠোফোনে বিষয়টি বলার পর তিনি কোনো মন্তব্য ছাড়াই কল কেটে দেন। এরপর একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি বারবার কল কেটে দেন। 

বরগুনার সিভিল সার্জন হুমায়ুন শাহীন খান বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে আমরা তদন্ত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর