দুই হাজার কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ এনে এক্সিম ব্যাংক ও নাসা গ্রুপের করা দুই মামলায় দি এশিয়ান এজ পত্রিকার সম্পাদনা পর্ষদের চেয়ারম্যান শোয়েব চৌধুরীকে গ্রেফতারে পরোয়না জারি করেছে ঢাকার একটি আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. আতিকুল ইসলাম এ পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
দুই মামলায় শোয়েব চৌধুরী আদালতের শুনানিতে হাজির না হওয়ায় এ পরোয়ানা বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী।
গত বছরের ২৪ অক্টোবর দি এশিয়ান এজ পত্রিকার প্রথম পাতায় ব্যাংক সংক্রান্ত একাধিক প্রতিবেদন ছাপা হয়।
এর একটি ছিল বেসরকারি ব্যাংক পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) প্রেসিডেন্ট এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের কর্ণধার মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারকে নিয়ে।
প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগ এনে এক মাসের মধ্যে মানহানির দুই মামলা করে এক্সিম ব্যাংক ও নাসা গ্রুপ। দুই মামলায়ই হাজার কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ করা হয়।
এক্সিম ব্যাংকের পক্ষে মামলাটি করেন সিনিয়র অ্যাসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান। অপর মামলাটি করেন এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক ও নাসা গ্রুপের উপদেষ্টা লে. কর্নেল (অব.) সিরাজুল ইসলাম বীরপ্রতীক।
মামলায় শোয়েব চৌধুরীসহ দি এশিয়ান এজ পত্রিকার ছয়জনকে আসামি করা হয়।
শুনানি শেষে মঙ্গলবার মহানগর হাকিম মো. আতিকুল ইসলাম দি এশিয়ান এজ পত্রিকার সম্পাদনা পর্ষদের চেয়ারম্যান শোয়েব চৌধুরীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
এক্সিম ব্যাংকের আইনজীবী কাওসার আলম সমির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালত মামলার অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব দেয় পিবিআইকে। আদালত শুনানি শেষে মঙ্গলবার শোয়েব চৌধুরীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন।’