বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থপাচার: জি কে শামীমের বিচার শুরু

  •    
  • ১০ নভেম্বর, ২০২০ ১৪:৫৩

আগামী ১৯ নভেম্বর মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

অর্থপাচার আইনে করা মামলায় এসএম গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। এর মধ্য দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলো।

আগামী ১৯ নভেম্বর মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

মঙ্গলবার শামীমসহ আট আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে শুনানি হয়।

আট আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। বিচারক তা নামঞ্জুর করে আট জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ গঠন করেন।

জি কে শামীমের পক্ষে এই মামলায় আনা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে শুনানিতে তার আইনজীবী সওকত ওসমান ও আবদুল খালেক বলেন, তাদের মক্কেল শুধু ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। তাই এই মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন না করে ন্যায় পাওয়ার স্বার্থে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া আবশ্যক।

অপরদিকে আসামি দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলামের পক্ষে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী তারিকুল ইসলাম তারেক।

তিনি শুনানিতে বলেন, ‘আসামিরা শুধু নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে চাকুরি করত। তারা এই মামলায় নির্দোষ। তাদের অস্ত্র লাইসেন্স করা।’

বিচারক তখন বলেন, ‘এক জন লোকের ১০-১২ জন দেহরক্ষী থাকতে পারে না। দেহরক্ষী এক বা দুজন হতে পারে।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বিরোধিতা করে বলেন, ‘এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং প্রাথমিকভাবে মামলার ঘটনা প্রমাণিত হয়েছে। তাই এই অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারিক কাজ শুরু করার আবেদন করছি।’

গত ২ নভেম্বর শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়ার কথা ছিল।

কিন্তু শামীমের সহযোগী আসামি তার দেহরক্ষীদের এজলাসে হাজির না করায় অভিযোগ গঠন পিছিযে বিচারক আজ তারিখ ধার্য রাখেন।

যদিও ২ নভেম্বর শুধু শামীমের পক্ষে অব্যাহতির আবেদন জমা দিয়ে তা শুনানি করেন তার আইনজীবী এমডি আব্দুল খালেক।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযোগের মধ্যে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র‌্যাব।

ওই ভবন থেকে এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয় অভিযান শেষে।

জি কে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্সের হাতে সরকারি প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ ছিল। পরে সেগুলোর কার্যাদেশ বাতিল হয়।

ওই অভিযানের পরের দিন র‌্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন।

তদন্ত চলার মধ্যেই সিআইডির আবেদনে শামীম, তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ১৯৪ ব্যাংক হিসাবও জব্দের আদেশ দেয় আদালত।

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ গত ৪ আগস্ট আট জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। তাতে ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়।

শামীমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে আরও দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় সাত দেহরক্ষীসহ জিকে শামীমের বিচারও শুরু হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর