বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লাইসেন্স ছাড়াই চলছিল মাইন্ড এইড হাসপাতাল

  •    
  • ১০ নভেম্বর, ২০২০ ১৩:৫৮

অভিযান শেষে ঢাকার সিভিল সার্জন মইনুল আহসান জানান, এই হাসপাতালের কোনো অনুমতি ছিল না।

লাইসেন্স ছাড়াই চলছিল রাজধানীর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতাল।

‌‘পিটুনিতে’ এএসপি আনিসুল করিমের মৃত্যুর পর মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতর অভিযান চালানোর সময় এই তথ্য জানান ঢাকার সিভিল সার্জন মইনুল আহসান।

অভিযান শেষে তিনি জানান, এই হাসপাতালের কোনো অনুমতি ছিল না। তারা স্বাস্থ্য অধিদফতরে চলতি বছরের মার্চে আবেদন করেছিল লাইসেন্সের। কিন্তু সেই আবেদনের সুরাহা হয়নি।

মাইন্ড এইড হাসপাতাল অভিযান চালায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। ছবি: নিউজবাংলা

সার্জন মইনুল আরও বলেন, ‘লাইসেন্স না থাকার কারণে আমরা এটা বন্ধ করতে পারছি না। এ ছাড়া এই হাসপাতালে ডাক্তার ছাড়া রোগী চিকিৎসা দেয়াসহ অনেক অনিয়মের অভিযোগে রয়েছে।’

তিনি আরও জানান, হাসপাতালটির লাইসেন্সের আবেদন বাতিল করা হবে।

অভিযানে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আহসান উল্লাহ।

সোমবার মাইন্ড এইড হাসপাতালে বরিশাল মহানগর পুলিশে দায়িত্ব পালন করে আসা আনিসুলকে পিটিয়ে হত্যার দাবি করেন স্বজনরা। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজারসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তাদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাইবে পুলিশ।

আনিসুলের ভাই রেজাউল করিম জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মাইন্ড এইড হাসপাতালে যান। কাউন্টারে ভর্তি ফরম পূরণের সময় কয়েকজন কর্মচারী তার ভাইকে দোতলায় নিয়ে যান। কিছু সময় পরই জানানো হয়, আনিসুল অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। এরপর তারা তাকে দ্রুত হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক জানান তিনি মৃত।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী আনিসুলকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে ছয় জন তাকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেছেন। আরও দুই জন তার পা চেপে ধরেছেন এবং মাথার দিকে থাকা দুই জন কনুই দিয়ে তাকে আঘাত করছেন।

হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় একটি কাপড় দিয়ে আনিসুলের দুই হাত বাঁধা হয়। চার মিনিট পর আনিসুলের কোনো সাড়া-শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না।

এ বিভাগের আরো খবর