ক্যাসিনোকাণ্ডে কারাগারে থাকা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে তাকে মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতারের আবেদন করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী আবেদন গ্রহণ করেন।
আদালতে সম্রাটের পক্ষে আবেদনটি বাতিল চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী শাহনাজ পারভিন হীরা।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করে সিআইডি।
ওই মামলায় বলা হয়, রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আয় করা অবৈধ অর্থের মধ্যে ১৯৫ কোটি টাকা সহযোগী আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেছেন সম্রাট।
সম্রাটের বিদেশ ভ্রমণের পর্যালোচনামূলক তথ্যও এ মামলার এজাহারে দেয়া হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় তিন বার, দুবাইয়ে দুই বার ও হংকংয়ে এক বার যাতায়াত করেছেন সম্রাট। আর সহযোগী আরমান ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মে পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ২৫ বার যাতায়াত করেছেন।
দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পরই সম্রাটকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে গত বছরের ৫ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সহযোগী আরমানকেও ওই সময় আটক করা হয়।
ওই দিন দুপুরে র্যাবের একটি দল সম্রাটকে নিয়ে কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে। সেখান থেকে একটি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া জব্দ করা হয়।
পরে ছয় মাসের জেল দিয়ে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সম্রাটের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত অর্থ উপার্জনের অভিযোগে দুদকের করা একটি মামলার তদন্তও চলছে।