বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আকবরকে পুলিশ সহায়তা করলে ব্যবস্থা: এসপি

  • দেবাশীষ দেবু, সিলেট   
  • ১০ নভেম্বর, ২০২০ ০৯:৫০

এসপি বলেন, আকবর যাদের সহযোগিতায় পালিয়ে ছিল বলে জানা গেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। পুলিশের কেউ সহযোগিতা করে থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

সিলেটে রায়হান হত্যা মামলায় গ্রেফতার পুলিশের বহিষ্কৃত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে পুলিশের কেউ পালাতে সহযোগিতা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।

সোমবার রাতে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এসপি বলেন, আকবর যাদের সহযোগিতায় পালিয়ে ছিল বলে জানা গেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। পুলিশের কেউ সহযোগিতা করে থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি জানান, এটা হবে দুই প্রক্রিয়ায়। একটি মামলার তদন্তের মাধ্যমে। তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কারও সম্পৃক্ততা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ছাড়া পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছেন। এই কমিটি যদি রায়হানের পালানোর সঙ্গে কোনো পুলিশ কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা পায়, তবে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে সোমবার সকালে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের সীমান্ত থেকে গ্রেফতার হন আকবর। তাকে আটকের পর স্থানীয়দের ধারণ করা একটি ভিডিওচিত্রে বলতে শোনা যায়, এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরামর্শে তিনি পালিয়ে ছিলেন।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে আকবর বলেন, ‘আমাকে সিনিয়র অফিসার বলছিল, তুমি আপাতত পালাইয়া যাও। পরে আইসো। দুই মাস পরে মোটামুটি সব ঠান্ডা হয়ে যাবে।’

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম আদালতে আকবরকে রিমান্ডে চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট পিবিআইয়ের পরিদর্শক আওলাদ হোসেন।

তিনি জানান, সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় আর কারা জড়িত, তাকে পালাতে কেউ সহযোগিতা করেছেন কি না, রিমান্ডে তা জানতে চাওয়া হবে।

গত ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে রায়হানকে তুলে নিয়ে সিলেট মহানগরের কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। পরদিন সকালে তিনি মারা যান।

নির্যাতনের সময় এক পুলিশের মুঠোফোন থেকে পরিবারকে ফোন করে টাকা চাওয়ার অভিযোগও ওঠে।

এ ঘটনার শুরুতে ছিনতাইকারী সন্দেহে নগরীর কাস্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে রায়হান নিহত হয়েছেন বলে প্রচার চালায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশের দাবি করা ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে গণপিটুনির কোনো দৃশ্য দেখা যায়নি।

এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ এনে মামলা করেন।

রায়হানের মৃত্যুর সময় আকবর বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে ছিলেন। তার নেতৃত্বেই রায়হানকে নির্যাতন করা হয় বলে আদালতকে জানিয়েছেন ওই ঘটনায় গ্রেফতার অন্য পুলিশ সদস্যরা।

পুলিশের তদন্তে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার জনকে বরখাস্ত ও তিন জনকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর