কুড়িগ্রামের রৌমারীতে কিশোরীকে গলা কেটে হত্যার দায়ে আনারুল হক (২০) নামে এক যুবককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল মান্নান এ রায় দেন। মামলায় অপর দুই আসামি রায়হানুল ও রশিদকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৪ জুন বেলা ১১টার দিকে রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামে বাড়িতে ঢুকে আরজিনা খাতুনকে (১৬) রান্নাঘরে নিয়ে ছোরা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন আইয়ুব আলী ও আনারুল হকসহ কয়েকজন।
আরজিনা ওই গ্রামের মৃত আব্দুল হাই আকন্দের ছোট মেয়ে। শৌলমারী এমআর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তখন সদ্য এসএসসি পাশ করেছিল।
আইয়ুব আলী পাশের চেংটাপাড়া ও আনারুল হক বাতার গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আইয়ুব আলী প্রেমের প্রস্তাব দিলে প্রতিবাদ করে আরজিনা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে সঙ্গীদের নিয়ে আরজিনাকে খুন করে।
হত্যার পর আইয়ুব গ্রামে ফিরে ডোবায় গায়ের রক্ত ধোয়ার সময় অজ্ঞান হয়ে পানিতে পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, আরজিনার মা সাজেদা খাতুনের করা হত্যা মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে পাঁচ বছর পর আনারুল হককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় আদালত। একই গ্রামের রায়হানুল ইসলাম ও আব্দুর রশিদকে খালাস দেয়া হয়েছে।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম।
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে পিপি অ্যাডভোকেট লিংকন বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পর কুড়িগ্রাম আদালতে আমৃত্যু কারাদণ্ড এই প্রথম।