বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেই দুই বোনের প্রয়াত বাবার ব্যাংক হিসাব বন্ধ

  •    
  • ৯ নভেম্বর, ২০২০ ২২:৩২

ফেরদৌস ওয়াহিদের ভাই প্রয়াত মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ে মুশফিকা মোস্তফা ও মোবাশশারা মোস্তফাকে তাদের বাড়িতে প্রবেশে বাধা দেন সৎ মা দাবিদার আঞ্জু কাপুর। পরে বিষয়টি উচ্চ আদালতে গড়ায়।

গুলশানের বাড়ির বাইরে অবস্থান করে খবরে আসা সেই দুই বোনের বাবার ব্যাংক হিসাব লেনদেন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

গুলশান-২ এর ৯৫ নম্বর সড়কের বাড়ি থেকে কোন জিনিসপত্র কোনো পক্ষ বাইরে নিতে পারবে না বলেও আদেশ এসেছে।

সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে দুই বোনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তার আঞ্জু কাপুরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

মনজিল মোরসেদ জানান, জগলুল ওয়াহিদের মৃত্যু সনদের কপি তিন দিনের মধ্যে মেয়েদের নিকট হস্তান্তর করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘জগলুল ওয়াহিদের মৃত্যুর পরে ব্যাংকে লেনদেন ও বর্তমান হিসাব এফিডেভিট করে আঞ্জু কাপুর আদালতে দাখিল করবেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ম্যানেজারকে হিসাবের তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

আঞ্জু কাপুর বিদেশি নাগরিক হিসেবে এফিডেভিট দিতে পারেন কিনা ও সম্পত্তির মালিক হতে পারবে কিনা সে বিষয়েও তাকে হলফনামা দিতে বলা হয়েছে। দুই বোনের নিরাপত্তা অব্যাহত রাখতে গুলশান থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদের ভাই প্রয়াত মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ে মুশফিকা মোস্তফা ও মোবাশশারা মোস্তফাকে তাদের বাড়িতে প্রবেশে বাধা দেয় তাদেরই সৎ মা দাবিদার আঞ্জু কাপুর। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে গত ২৬ অক্টোবর রাতে কোর্ট বসে স্বপ্রণোদিত হয়ে আদালত দুই বোনকে বাড়িতে প্রবেশ ও নিরাপত্তার আদেশ দেয়।

৩ নভেম্বর পর্যন্ত ওই বাসায় দুই বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়। পাশাপাশি গুলশান থানার ওসিসহ দুই বোন এবং আঞ্জু কাপুরকে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়।

আদেশের পর ওই রাতেই দুই বোনকে বাসায় উঠিয়ে দিয়ে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ।

পরে আদালত ওই বাড়ির দাবির পক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদালতে দাখিল করতে বলে ৩ ডিসেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার‌্য করেন। 

গুলশান-২ এর ৯৫ নম্বর সড়কে ৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের বাড়ির মালিক মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদ। গত ১০ অক্টোবর তিনি মারা যান।

জগলুল ওয়াহিদ পাইলট ছিলেন। তার দুই মেয়ে মুশফিকা ও মোবাশ্বেরা কয়েকদিন ধরে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করতে না পারায় ফটকের সামনে অবস্থান নেন।

তাদের অভিযোগ, বাড়ির দখল থাকা তাদের বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবিদার আঞ্জু কাপুর তাদেরকে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না।

মুশফিকা বলেন, ১৯৮৪ সালে তার বাবা গুলশানের এই বাসায়ই মাকে নিয়ে সংসার পেতেছিলেন। তাদের জন্ম ও শৈশবের বড় অংশও এই বাড়িতে কেটেছে। ২০০৫ সালে তাদের বাবা-মার বিচ্ছেদ হয়। পরে তারা কখনো মায়ের সঙ্গে, কখনো বাবার সঙ্গে থাকতেন।

২০১৩ সালে তিনি উচ্চতর লেখাপড়ার জন্য দেশ ছাড়েন। পরে ছয় বছর তিনি এই বাসায় অনিয়মিত হয়ে পড়েন। ছোট বোন মোবাশ্বেরাও বিয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।

তবে তারা বাবার খোঁজখবর রাখতেন। তাদের বাবা বলেছিলেন, আঞ্জু কাপুর নামের এক সেবিকা তাকে দেখাশোনা করছেন। পরে আঞ্জু নিজেকে তাদের বাবার স্ত্রী দাবি করেন। তিনি একাই এখন এই বাড়ির ভোগদখলে আছেন।

 

এ বিভাগের আরো খবর