ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষায় এক প্রার্থীর খাতায় গোপনে নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ধরা পড়ার পর নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়েছে।
এক প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর অনৈতিকভাবে বাড়িয়ে দেয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফাতেমা জোহরা হককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয় গত ৭ নভেম্বর।
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতির প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মাজহারুল ইসলাম।
তবে প্রার্থীদের খাতা মূল্যায়নের পর গোপনে এক প্রার্থীর খাতায় নম্বর টেম্পারিং করে বাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে শিক্ষক প্রতিনিধি ফাতেমা জোহরা হকের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফৌজিয়ার কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ও ফাতেমা জোহরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশও করেন সহকারী কমিশনার মো. মাজহারুল ইসলাম।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন মাজহারুল ইসলাম।
এ ঘটনায় সোমবার বিকালে বৈঠক করেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যরা। সেখানে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়।
ভিকারুননিসার গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অভিযোগটি সত্যি এবং যে খাতার নম্বর বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল সেটি ঘটনার দিনেই বাতিল করা হয়েছে।’
অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাকে শোকজ করা হবে এবং তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর আগে রোববার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ অভিভাবক ফোরামের পক্ষ থেকে মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে শিক্ষক ফাতেমা জোহরার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে দাবি করেছেন অভিভাবক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর মজিদ সুজন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গভর্নিং বডির মিটিংয়ে শনিবারের নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। নিয়োগে অনিয়ম দূর করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা সেই আশা করি।’
পছন্দের প্রার্থীর খাতায় অনৈতিকভাবে নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ইংরেজির শিক্ষক ফাতেমা জোহরার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকেও ফোন করে পাওয়া যায়নি।