অনলাইন ক্যাসিনো কারবারি সেলিম প্রধানের যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ডে বিপুল সম্পদের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে বলে সোমবার নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, থাইল্যান্ডে সেলিম প্রধানের মালিকানাধীন প্রধান গ্লোবাল ট্রেডিং, এশিয়া ইউনাইটেড এন্টারটেইনমেন্ট, তমা হোম পাতায়া কোম্পানি লিমিটেডসহ সাতটি কোম্পানির সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া ব্যাংকক ব্যাংক ও সায়েম কমার্শিয়াল ব্যাংকে ২০ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জেপি মর্গান ব্যাংকে সেলিম প্রধানের দুটি ব্যাংক হিসাবে আর্থিক লেনদেনের মিলেছে। তবে হিসাববহির্ভূত ৬১ কোটি টাকার উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি দুদক। এ টাকা থাইল্যান্ডে পাচার হয়েছে কি না সে বিষয়ে কোনো তথ্য পায়নি কমিশন।
দুদকের তদন্তে জানা গেছে, সেলিম প্রধান লাস ভেগাসে ক্যাসিনো খেলতেন এবং কয়েক কোটি টাকা দিয়ে ক্যাসিনো চিপস লাস ভেগাস থেকে ক্রয় করেছিলেন।
গত বছর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সেলিম প্রধানকে আটক করে র্যাব। পরে গুলশান-বনানীতে তার বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে ২৯ লাখ নগদ টাকা এবং বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্র ও মদ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন গুলশান থানায় মাদক ও মুদ্রা পাচার আইনে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে র্যাব। ‘প্রধান গ্রুপ’ নামে একটি ব্যবসায়ী গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান। এই গ্রুপের অধীনে পি২৪ গেইমিং নামের একটি কোম্পানি ওয়েবসাইটে ঘোষণা দিয়ে ক্যাসিনো ও অনলাইন ক্যাসিনোর কারবার করছিল।
দুদক জানিয়েছে, সেলিম প্রধানের স্থাবর সব সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। তার অর্ধশত ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেলিম প্রধান কত টাকা পাচার করেছেন এবং টাকার উৎস নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ক্যাসিনো কারবার এসব টাকার উৎস হতে পারে। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে চার্জশিট কমিশনে জমা দেয়া হবে।
সেলিম প্রধানের পাচার করা টাকা উদ্ধারে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তিনি।