অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় ফেল করার পরেও বিচারকের ছেলেকে মামলা পরিচালনার সুযোগ দিয়ে বার কাউন্সিলের গেজেটকে বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন আইনজীবী অনিক আর হক।
তিনি বলেন, ‘আমরা হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়েছি।’
রীতি অনুযায়ী বার কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্তির এমসিকিউ পরীক্ষায় পাস করলে লিখিত ও পরে মৌখিক পরীক্ষায় পাস করলে বিচারিক আদালতে প্র্যাকটিসের অনুমতি মেলে।
বিচারিক আদালতে তিন বছর মামলা পরিচালনা করার পর হাই কোর্টে ইনটিমেশন জমা দিতে হয়। এরপর মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা পরিচালনার অনুমতি মেলে।
তবে গত বছর বার কাউন্সিল আইনজীবী অন্তর্ভূক্তির পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিসের সুযোগ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এই গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ডিসেম্বরে রিট করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও ইশরাত হাসান।
রোববার রিটটি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রিটকারি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়। তাদেরকে একশ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহ র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, ‘এই ধরনের রিট দায়ের করার জন্য রিটকারীদের ওপর যথেষ্ট পরিমাণে জরিমানার আদেশ হওয়া উচিত। কিন্তু তাদের (দুই রিটকারী) বয়স বিবেচনায় ১০০ টাকা করে জরিমানা করা হলো।’
আদালতে বিচারপতির ছেলের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম ও তানিয়া আমীর। রিটের পক্ষে ছিলেন সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও ইশরাত হাসান।
এই রায়ের বিরুদ্ধে সোমবার সুপ্রিমকোর্টের বেশ কয়েকজন আইনজীবী অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন। দুই আইনজীবীর জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে প্রত্যেকে একটি বাক্সে এক টাকা করে রাখেন তারা।