মাস্ক না পরে ঘরের বাইরে যাওয়ায় খুলনায় ৩৩ জনকে আটক করেছে প্রশাসন। ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ২৫ জনকে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত খুলনা নগরের শিববাড়ী, ডাচ বাংলা মোড়, নিউ মার্কেট ও সার্কিট হাউজ এলাকায় দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় এই ব্যবস্থা নেয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইউসুপ আলী জানান, আটকদেরকে খুলনা সদর থানায় নেয়া হয়েছে। তারা যদি সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারে, তাহলে এক দিনের কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে।
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনাভাইরাস এর দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ প্রতিহত করতে কঠোর অবস্থান নেয়া হয়েছে। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক অনুযায়ী মাস্ক না পরে ঘর থেকে বের হওয়া ব্যক্তিদের জেল দেয়া হবে।’
গত মার্চে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরেও খুলনায় এই ধরনের অভিযান চলছিল। সে সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত অনেক মানুষকে জরিমানাও করেছিল।
ইউসুপ আলী বলেন, ‘এতেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা আসেনি। এ কারণেই এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
আগামী শীতে করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণের আশঙ্কায় মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে কড়াকড়ি আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরই মধ্যে মাস্ক ছাড়া সরকারি অফিসে কোনো সেবা দেয়া হবে না বলে ঘোষণা এসেছে। যদিও মানুষের মধ্যে মাস্ক পরায় অনীহার বিষয়টি স্পষ্ট।
মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে গত ২১ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মেডিকেল শিক্ষা বিভাগ। আদেশ অমান্য করায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বিপুল সংখ্যক মানুষকে জরিমানাও করে।
সংক্রমণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী মাস্ক না পরলে বা অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাইরে চলাচল করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।
অবশ্য গত ১৩ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ঘোষণায় এই আইন সতর্কতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে বলা জেলা প্রশাসক ও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বলা হয়।