বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘গ্যাস লাইন’ বিস্ফোরণ, এক জনের মৃত্যু; দগ্ধ ৮

  •    
  • ৯ নভেম্বর, ২০২০ ০৯:৫০

দগ্ধ সাইফুল ইসলাম ও মিজানুর রহমানকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে মিজানুরের শরীরের ৩৬ শতাংশ ও সাইফুলের ২২ শতাংশ পুড়ে গেছে।

চট্টগ্রাম শহরের আকবর শাহ থানার উত্তর কাট্টলীতে বিস্ফোরণে দগ্ধ নয় জনের মধ্যে এক জন মারা গেছেন। গুরুতর ছয় জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে সোমবার দুপুরে পেয়ারী বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বার্ন অ্যান্ড সার্জারি ইউনিটের প্রধান রফিক উদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, দগ্ধদের মধ্যে মিজানুরের শরীরের ৩৬ শতাংশ ও সাইফুলের ২২ শতাংশ পুড়ে গেছে। এই দুই জনসহ দুই বছরের শিশু মানহা, আট বছরের মাহেরা,  বিবি সুলতানা ও সুমাইয়াকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন: আগুন থেকে যেভাবে বাঁচল ৫ দিনের শিশু

রোববার রাত ১১টার দিকের এই দুর্ঘটনা জানাজানি হয় সোমবার সকালে। 

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফরিদ আহমদ চৌধুরী জানান, রোববার রাতে উত্তর কাট্টলীতে মরিয়ম ভবনের ছয় তলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ফ্লাটে দুটি পরিবার বসবাস করত।

একটি পরিবার রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। অন্য পরিবারের সদস্যরা টিভিতে খেলা দেখছিল। এ সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে ৯ জন দগ্ধ হয়।

তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি ও আগুন লাগার মূল কারণ তদন্ত করে জানানো হবে।

তবে দগ্ধদের স্বজন ও পুলিশ বলছে, গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণ হতে পারে।

দগ্ধদের মধ্যে রিয়াজ  উদ্দিন ও তার স্ত্রী  সুলতানা জাহানকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

ঘটনার তদন্তে জেলা প্রশাসনের কমিটি

মরিয়ম ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।  কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দগ্ধদের দেখতে এসে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইলিয়াস হোসেন কমিটি গঠনের কথা জানান।

ডিসি বলেন, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশের এক জন, ফায়ার সার্ভিসের এক জন ও বিদ্যুৎ বিভাগের এক জন সদস্য নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ ও এক্ষেত্রে বাড়িওয়ালার কোনো গাফিলতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে কমিটির সদস্যরা।

এ বিভাগের আরো খবর