সংসদের বিশেষ অধিবেশনে আনা শোক প্রস্তাবে অন্যান্যদের সঙ্গে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমেদ শফীর নাম রয়েছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ‘মুজিববর্ষ‘ উদযাপনের অংশ হিসেবে রোববার সন্ধ্যায় সংসদের বিশেষ অধিবেশনের শুরুতে এ প্রস্তাব আনা হয়।
সংসদ অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আগের অধিবেশনের সমাপ্তি থেকে চলতি অধিবেশনের শুরুর আগ পর্যন্ত যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তি মারা যান, তাদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর মারা যান শাহ আহমেদ শফী। গত কয়েক বছরে সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাদিসকে ইসলামিক স্টাডিজে মাস্টার্সের সমমান দিয়ে যে আদেশ জারি করেছে, সেখানে শফীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
হেফাজত নেতা ছাড়াও সম্প্রতি প্রাণ হারানো অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল রফিক-উল হক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাহিত্যিক রশীদ হায়দার, বিশিষ্ট সাংবাদিক কবি আবুল হাসনাত, সংসদ সদস্য কানিজ সুলতানার স্বামী জাহিদ হোসেন বাচ্চুর মৃত্যুতেও আনা হয় শোক প্রস্তাব।
বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন, গণপরিষদের সাবেক সদস্য সৈয়দ এ কে এম এমদাদুল বারী, সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, নুরুল ইসলাম, খন্দকার গোলাম মোস্তফা, শামছুল হক তালুকদার, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের মা শিরিয়া খানম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের মা কাজী নুরজাহান বেগমের নামও আছে প্রস্তাবে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি জিয়াউদ্দিন তারিক আলী, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদের বোন মরিয়ম হেলাল ও সেন্ট জোসেফ স্কুলের অধ্যক্ষ ব্রাদার রবি থিওডোর পিউরিফিকশরে মৃত্যুতেও জানানো হয় শোক।