আবারও বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে খোঁটা দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এবার বাংলাদেশের প্রসঙ্গ এসেছে ‘নোটবন্দিকরণের’ চতুর্থ বর্ষপূর্তির সূত্র ধরে।
দেশকে কালো টাকামুক্ত করতে ভারতজুড়ে নজিরবিহীন ও বিতর্কিত এ পদক্ষেপের বর্ষপূর্তিতে মোদি সরকার নিজেদের অর্থনৈতিক সাফল্যগাথা প্রচার করতে শুরু করেছে।
এর পাল্টা হিসেবে রাহুল গান্ধী এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেন, কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি ভারতকে ছাপিয়ে গেল? এখানে একসময় ভারতের অর্থনীতি উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন ছিল। রাহুলের প্রশ্ন, ‘সরকার যদি কোভিডের সাফাই দেয়, তাহলে কোভিড তো বাংলাদেশেও আছে। আসলে কারণটা কোভিড নয়, ভারতের অর্থনীতির বেহাল দশার কারণ নোটবন্দি এবং জিএসটি।’
মোদির অর্থনৈতিক নীতি দেশের কৃষক, মজুর, ছোট ব্যবসায়ীদের আরও সমস্যায় ফেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ রাহুল গান্ধীর।
রোববার নোটবন্দির চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সেই 'বিতর্কিত' সিদ্ধান্তের সাফল্যের কথা টানেন। প্রধানমন্ত্রীর টুইট বার্তা: কালো টাকা কমিয়ে, করের টাকা কোষাগারে জমা করতে এবং দেশের অগ্রগতির জন্য নোটবন্দিকরণ অত্যন্ত উপকারি ভূমিকা গ্রহণ করেছে।
নোটবন্দির পরবর্তী বছরগুলিতে রিজার্ভ ব্যাংক থেকে শুরু করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি যে মন্তব্যই করুক না কেন, রোববার মোদি টুইটে বলেন, ‘কালো টাকা কমাতে, কর আদায় করতে এবং স্বচ্ছতা বাড়িয়ে তুলতে নোটবন্দিকরণ অনেকটাই সাহায্য করেছে, যা জাতীয় অগ্রগতিতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে।’
২০১৬ সালে ৮ নভেম্বর অপ্রত্যাশিতভাবে এই পদক্ষেপ নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। হঠাৎ করেই ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করা হয়। এতে রাতারাতি ব্যাংকে চাপ বৃদ্ধি পায়। বাজারের চাহিদাও কমে যায়। সঙ্কটের মুখোমুখি হয় বহু ব্যবসা, জিডিপির বৃদ্ধিও কমে যায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ। এর ফলে অর্থনীতিতে ধাক্কা এসে পড়ে। ছোট ছোট ইউনিটগুলি আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। নয় মাস পরেও যে চিত্রে কোনো বদল আসেনি।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এ দিন দাবি করেছেন, ‘নোটবাতিলের জেরে কর কাঠামোর উন্নতি ও আদায় বেড়েছে। ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য নয়া দিগন্ত খুলে দিয়েছে নোটবাতিল।'