যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে জো বাইডেনের অভিষেক হওয়ার পর তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিকে ফেরত দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ২৭০টির বেশি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তার এ জয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক কেমন হবে, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো খুনিকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন আশ্রয় দেবে না বলে প্রত্যাশা করি।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাকে ফেরত চাওয়া হয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৩৫ বছর পর ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর হয়। এরা হলেন: সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ, মহিউদ্দিন আহমদ, এ কে বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিন
তবে সাত খুনি রয়ে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ১০ বছর পর এ বছরের ৭ এপ্রিল হঠাৎ ঢাকায় ধরা পড়েন আব্দুল মাজেদ। ১১ এপ্রিল তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।
বাকি ছয় খুনির মধ্যে দুই জনের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত সরকার। এদের মধ্যে এ বি এম এইচ নূর চৌধুরী কানাডায় এবং রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। তাদের ফিরিয়ে আনতে নানা চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। ট্রাম্প আমলে এ বিষয়ে অগ্রগতিও হয়েছে খানিকটা।
বাইডেন নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এতে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি বা সম্পর্কে তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের প্রত্যাশা অনুযায়ী মার্কিন প্রশাসন কাজ করবে।’
মিয়ানমারে রোববারের নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে। যে-ই ক্ষমতায় আসবে, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তারা ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করছি।’