বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকায় ভবনের সর্বোচ্চ উচ্চতা কত, জানা যাবে দুই মাসে

  •    
  • ৮ নভেম্বর, ২০২০ ১৬:৪৪

নতুন ড্যাপের খসড়ায় উত্তরায় সর্বোচ্চ সাত থেকে আট তলা; গুলশান, বনানী ও বারিধারায় ছয় থেকে আট তলা, খিলক্ষেত, কুড়িল ও নিকুঞ্জ এলাকায় ছয় তলা, মিরপুরে চার থেকে সাত তলা, মোহাম্মদপুর ও লালমাটিয়ায় পাঁচ থেকে আট তলা, পুরান ঢাকায় চার থেকে ছয় তলা আবাসিক ভবন করা যাবে বলে উল্লেখ আছে।

রাজধানীতে আবাসিক ভবনের উচ্চতা কতটুকু রাখা হবে, তা ঠিক করতে আরও দুই মাস সময় নিয়েছে সরকার।

সচিবালয়ে রোববার স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে পুনর্গঠিত বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা-ড্যাপ কমিটির প্রথম সভায় এই সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়।

সভাশেষে মন্ত্রী বলেন, ‘ড্যাপের আওতায় নতুন ভবনের উচ্চতা কত হবে সেটা নির্ধারণের জন্য সামগ্রিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটা নিয়ে ভিন্নমত আছে। ভিন্নমতগুলোসহ দুই মাস আগে এটা ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে।’

গত ২ সেপ্টেম্বর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় নতুন ড্যাপের খসড়া প্রকাশ করে। নতুন ড্যাপের বিষয়ে অংশীজনদের মতামত নিচ্ছে রাজউক।

খসড়ায় উত্তরায় সর্বোচ্চ সাত থেকে আট তলা; গুলশান, বনানী ও বারিধারায় ছয় থেকে আট তলা, খিলক্ষেত, কুড়িল ও নিকুঞ্জ এলাকায় ছয় তলা, মিরপুরে চার থেকে সাত তলা, মোহাম্মদপুর ও লালমাটিয়ায় পাঁচ থেকে আট তলা, পুরান ঢাকায় চার থেকে ছয় তলা আবাসিক ভবন করা যাবে বলে উল্লেখ আছে।

তবে জমির ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ উন্মুক্ত রাখলে ভবনের উচ্চতা বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।

সচিবালয়ে পুনর্গঠিত বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা-ড্যাপ কমিটির প্রথম সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম

 

অনলাইনে রাজউকের ওয়েবসাইটে ও সরাসরি রাজউক কার্যালয়ে গিয়ে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মতামত দেওয়ার সুযোগ ছিল।

মন্ত্রী বলেন, ‘কোভিডকালীন সবাই সঠিকভাবে কাজ করতে পারেননি, তাই আজকের সভায় উচ্চতা নির্ধারণের বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য আরও দুই মাস সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

 

ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টার পরেও ঠিকঠাক না হলে ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’ নিতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘মানুষ বেশি, রাস্তা কম। ভবন উপরের দিকে উঠতে দেবেন না, নাকি? মানুষকে তো বসবাস করতে হবে।’

ঢাকার অনুমোদনহীন ভবন নিয়ে আরেক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘এসব নিয়ে রুলস আছে এবং অথরিটি আছে সেগুলো দেখভাল করার জন্য।’

‘আদর্শ শহরের’ তুলনায় ঢাকায় সড়কের পাঁচ ভাগের এক ভাগ জানিয়ে শহরকে ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানোর ওপরও গুরুত্ব দেন মন্ত্রী।

বলেন, ‘যিনি যে এলাকায় বসবাস করেন, সেখানে যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিংমলসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়, তাহলে গাড়ির ব্যবহার কম হবে।

‘গাড়ি যখন লাগবে না তখন ট্রাফিক লোড কমবে। আপনি ভেহিকেলও রাখবেন, মানুষের সংখ্যাও বাড়াবেন, আবার হাইরাইজ বিল্ডিং বাড়াবেন তাহলে এটা ম্যানেজ করবেন কীভাবে?’

কোনো অঞ্চলে লোকজন বেড়ে যাওয়ার পর পানির চাহিদা বাড়ায় সেখানে ওয়াসার পানি সরবরাহের লাইন পরিবর্তন করতে হয় বলেও জানান মন্ত্রী।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দীন, নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর