দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৬৭ জনে।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৪৭৪ জন। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে চার লাখ ২০ হাজার ২৩৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ হাজার ৭৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
দেশে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ৩৮ হাজার ১৪৫ জন। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৮ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব এক জন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাচঁ ও ষাটোর্ধ্ব ১১ জন।
বিভাগ অনুযায়ী ঢাকায় নয়, চট্টগ্রামে তিন, খুলনায় দুই, বরিশালে এক, সিলেটে এক ও রংপুরে দুই জনের মৃত্যু হয়। তারা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনা শনাক্তের দিক থেকে ২২তম অবস্থানে বাংলাদেশ; মৃতের সংখ্যায় ৩১তম।
গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার।
দেশে সংক্রমণের অষ্টম মাস হলো রোববার। শুরুর দিকে সংক্রমণ ধীর থাকলেও মে মাসের মাঝামাঝি থেকে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। জুনে তা তীব্র আকার নেয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের পর ২৫ মে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০০ জনে দাঁড়ায়। এ সংখ্যা ১০ জুন এক হাজারে পৌঁছায়। এরপর ৫ জুলাই করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দুই হাজারে দাঁড়ায়। এরপর মাত্র ১২ দিনের মাথায় ১৭ জুলাই মৃতের সংখ্যা আড়াই হাজারে পৌঁছায়।
জুলাইয়ের শুরু থেকে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা কমতে থাকে। এ সময় পরীক্ষাও কম হয়। অবশ্য গত আগস্ট থেকে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যার পাশাপাশি পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণ শনাক্তের হারও কমতে দেখা যায়।
১২ আগস্ট পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার, ২৫ আগস্ট পর্যন্ত চার হাজার, ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।