কুয়াশা বলে দিচ্ছে রাঙ্গামাটিতে শীত এসে গেছে। রাতভর টুপটাপ ঝরে পড়ে শিশির। সকালে কুয়াশায় চারদিক একাকার হয়ে যায়। কুয়াশার চাদর সরিয়ে একটু দেরি করেই উঁকি সূর্য। আর তখন ঘাসের ওপর জমে থাকা শিশির বিন্দু মুক্তোদানার মতো ঝমমক করে ওঠে। প্রকৃতিতে শীত ঋতুর রূপ ফুটে উঠছে।
রাঙ্গামাটিতে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি। এরপর মৃদু শীতের অনুভূতি। দুই-তিন দিন ধরে রাতে শীতের তীব্রতা বাড়ছে।
দিনে গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যা নামার পর কুয়াশায় ছেয়ে যায় চার দিক। বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা। সারা রাত টিনের চালে শোনায় যায় শিশির পড়ার শব্দ।
রাঙ্গামাটির বিভিন্ন উপজেলার গ্রামে ইতিমধ্যে শীত ভালোই নেমেছে। লোকজনকে গরম কাপড় পরতে দেখা গেছে।
রাঙ্গামাটি আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, রোববার বেলা ১১টার দিকে রাঙ্গামাটির তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লোকজন চাদর পরে আছেন। ভাপাপিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। শীতের এই পিঠা তৈরি নানা সরঞ্জামাদি নিয়ে রাস্তায় নামছেন বিক্রেতারা।
সকালে হালকা কুয়াশায় রাস্তাঘাট ও কাপ্তাই হ্রদ ঢেকে যায়। পাহাড় চূড়ায় মেঘের মতো জমে থাকে কুয়াশা।
দুর্ঘটনা এড়াতে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস-ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলো চলাচল করছে হেড লাইট জ্বালিয়ে।
প্রতি বছর সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহেই রাঙ্গামাটিতে শীতের আগমন ঘটে। তবে এবার কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয়েছে শীত।
জুরাছড়ি উপজেলা থেকে পারমিতা চাকমা বলেন, কয়েক দিন টানা বৃষ্টি হওয়ার পর তিন দিন ধরে বেশ শীত লাগছে। শীত ঋতুর নিজস্ব রূপ আছে। সেটি ফুটে উঠছে ধীরে। এতে তার ভালোই লাগছে।
নানিয়ারচর উপজেলার বোধিকেন্দু চাকমা বলেন, একটু দেরিতে হলেও শীত নামতে শুরু করেছে। তবে এবার তীব্রতা অনেক বাড়তে পারে। মাত্র দুই-তিন দিনে বেশ শীত পড়ছে। সামনের দিনগুলোতে কনকনে ঠান্ডা পড়বে। তবে তারা এই শীতের সঙ্গে পরিচিত।