বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অস্ত্রের আঘাতে জখমের ১৬ দিন পর মৃত্যু

  •    
  • ৮ নভেম্বর, ২০২০ ০৯:০৮

স্বজনদের দাবি, তিনি পুলিশের সোর্স ছিলেন। তবে পুলিশ বলছে, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে হামলার শিকার হন তিনি।

ঢাকার ধামরাইয়ে ‘প্রতিবেশীর’ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হওয়ার ১৬ দিন পর শুক্রবার রাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার নাম জাহাঙ্গীর আলম।

এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় তার বাবা নেহাজ উদ্দিন বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

জাহাঙ্গীরের বাড়ি ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের কাকরান তেঁতুলিয়া এলাকায়। মামলার প্রধান আসামি ফাত্তু মিয়া তার প্রতিবেশী।

জাহাঙ্গীরের ভাই মো. আলাউদ্দিন নিউজবাংলাকে জানান, জাহাঙ্গীর গুলিস্তান-ধামরাই বাসের কর্মী ছিলেন। তিনি পুলিশের সোর্সের কাজও করতেন। তিনি প্রতিবেশী ‘মাদক বিক্রেতা’ ফাত্তুকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছিলেন। এর জেরে ২১ অক্টোবর রাতে জাহাঙ্গীরকে মাথায় কুপিয়ে জখম করেন ফাত্তু ও তার সহযোগীরা।

তিনি আরও বলেন, সে রাতে চিৎকার শুনে তার ভাইকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে রাতেই বাড়ি ফিরে আসেন। তবে এরপর থেকে জাহাঙ্গীর চোখে কম দেখতেন, কানেও কম শুনতেন। শুক্রবার গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে স্থানীয় চয়নিকা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে আসেন, রাতে তার মৃত্যু হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জাহাঙ্গীর ও ফাত্তুর মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জেরেই জাহাঙ্গীকে জখম করেন ফাত্তু। জাহাঙ্গীর নিজ বাড়িতে মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসাপতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জাহাঙ্গীর পুলিশের সোর্স ছিলেন, এমন তথ্য তার জানা নেই। 

এ বিভাগের আরো খবর