বগুড়ায় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ধাওয়া-পাণ্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও লাঠিচার্জ করে।
শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া কাহালু উপজেলার পৌর মঞ্চে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেল থেকে কাহালু উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। সন্ধ্যায় সংগঠনটির উপজেলা কমিটি গঠনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল। ওই সময় পদ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। পরে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
সেসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সম্মেলনে প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি মজিবর রহমান মজনু ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান শাহীনের গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক লীগের মধ্যে কোনো কোন্দল নেই। সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কেএম বেলালের নির্দেশে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। আমাদের ওপর পাথর নিক্ষেপ করে যুবলীগ নেতারা।’
অভিযোগের বিষয়ে কাহালু উপজেলা যুবলীগ সভাপতি কেএম বেলালের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আলী টনি মুঠোফোনে বলেন, ‘যুবলীগ ওই সম্মেলনে হামলা চালায়নি। বিচ্ছিন্নভাবে যুবলীগের কিছু নেতাকর্মী ওই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন।’
কাহালু থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে আমরা শর্টগানের ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছি।’