সাভারের আমিনবাজার এলাকায় ইতালি প্রবাসীকে গুলি করে ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বাহিনীটি জানিয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে এক জনকে শনাক্ত করা হয়। পরে তার সহযোগীদেরকে ধরা হয়।
আটকদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার, ১২টি গুলি, ছুরি, লোহার পাইপ ও লুণ্ঠিত ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে র্যাব।
শনিবার বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ এর মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর জিয়াউর রহমান চৌধুরী।
ধরা পড়া তিন জন হলেন পটুয়াখালী জেলার মোস্তাফিজুর রহমান, বরিশাল জেলার মোহাম্মদ নাসির ও একই জেলাল আব্দুল বারেক সিকদার।
র্যাব জানায়, গত ২৮ অক্টোবর কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা প্রবাসী আমান উল্লাহ তার স্ত্রীকে নিয়ে সাভারের আমিনবাজারের একটি ব্যাংক থেকে টাকা তোলেন।
বাড়ি নির্মাণের জন্য ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা তুলে স্ত্রীর কাছে রাখেন আমান উল্লাহ। এরপর একটি ট্যাক্সিক্যাব ভাড়া করে কেরানীগঞ্জের পথে রওয়ানা হন।
ভাকুর্তা লোহার ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে তাদের অনুসরণ করে আসা তিনটি মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার তাদের গতিরোধ করে। আমান উল্লাহকে গুলি করে ছিনিয়ে নেয়া হয় টাকা।
পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আমানকে সাভার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী।
ছিনতাইকারীদের ধরতে মাঠে নামে র্যাবের গোয়েন্দা দল। তদন্তের শুরুতেই ব্যাংকের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে ক্যাপ পরা এক জনকে শনাক্ত হন। এরই সূত্র ধরে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাভারের বিরুলিয়া জোড়া ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালানো হয়। তিন জনকে আটক করা হলেও পালিয়ে যায় সহযোগীরা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার তিন জন র্যাবকে জানান, তারা ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল। নিজেদের দলকে বলেন ‘কোম্পানি’। প্রত্যেকের একটি করে ছদ্মনাম থাকে।
এ দলের অন্যতম সদস্য ব্যাংকে সেদিন ক্যাপ পরা অবস্থায় ছিলেন। তিনি টাকা উত্তোলনকারীদের দিকে নজর রাখেন। বাইরে মোটরসাইকেলে ওঁৎ পেতে থাকা নাসিরসহ তার অন্যান্যদেরকে তথ্যটি জানান।
র্যাব বলছে, গ্রেফতার বারেক সিকদার ছিলেন ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারের চালক।
র্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার সুপার জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, সেদিন ছিনিয়ে নেয়া টাকা ১০ জনকে ৫০ হাজার করে ভাগ করে দেয়া হয়েছিল।
গ্রেফতার তিন জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও হত্যা মামলা রয়েছে।