ফ্রান্স সরকার নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে বাংলাদেশে দেশটির দূতাবাস বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে ধর্মভিত্তিক একটি সংগঠন।
শনিবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আহলে সুন্নাতের বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এই হুমকি দেয়া হয়।
সমাবেশে বক্তরা বলেন, মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রদর্শন করে সারা বিশ্বের মুসলমানদের মনে কষ্ট দিয়েছে ফ্রান্স।
আহলে সুন্নতের চেয়ারম্যান কাজী মঈনুদ্দিন আশরাফী বলেন, ‘ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও সেদেশের পত্রিকা শার্লি হ্যাবদোকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে, না হলে বাংলাদেশকে ফ্রান্সের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। প্রয়োজনে সুন্নি জনতাকে নিয়ে আমরা ফ্রান্সের দূতাবাস বন্ধ করে দেব।’
সংসদে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাস, ফরাসি পণ্য বর্জন, ধর্ম অবমাননার দায়ে ফ্রান্স সরকারে বিরুদ্ধে জাতিসংঘে নিন্দা প্রস্তাব উপস্থাপনের দাবিও জানানো হয় সমাবেশে।
বক্তারা বলেন, ফ্রান্স সরকার মুসলিম উম্মাহর রক্তক্ষরণ করেছে। এ জন্য ফ্রান্স সরকারকেও ভয়াবহ পরিণতি বরণ করতে হবে।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের হয়। কড়া পুলিশি পাহারায় মিছিলটি বায়তুল মোকাররম উত্তরগেট থেকে শুরু হয়ে প্রেসক্লাব হয়ে পল্টনমোড়, দৈনিকবাংলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এই কর্মসূচির কারণে পল্টনমোড় থেকে দৈনিক বাংলামোড় পর্যন্ত এক পাশে যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। নিরাপত্তাও জোরদার করে পুলিশ।
গত ১৬ অক্টোবর প্যারিসের উপকণ্ঠে দেশটির এক স্কুল শিক্ষকের শিরশ্ছেদ করেন ১৮ বছর বয়সী কিশোর। ওই শিক্ষক মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্লাসে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন দেখিয়েছিলেন। এ কারণে তাকে হত্যা করা হয়।
পরে ফ্রান্সের সরকার ওই স্কুল শিক্ষককে দেশটির সর্বোচ্চ মরণোত্তর পদকে ভূষিত করে। বিভিন্ন ভবনের গায়ে সেই কার্টুন প্রদর্শনও শুরু করে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই কার্টুন প্রদর্শনের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে ফ্রান্সবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।