বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশে দারিদ্র্য থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ৭ নভেম্বর, ২০২০ ১২:২৬

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত করতে হলে সমবায়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

সমবায়ের মাধ্যমে দেশকে উন্নত করতে হবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না।

৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে শনিবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।

বক্তব্যে সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত করতে হলে সমবায়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের অর্ধেক নারী। আর এ জন্য নারীদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতি কমে যাবে।’

এ বছর জাতীয় সমবায় দিবসের প্রতিপাদ্য ধরা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’।

বক্তব্যে সমবায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সংবিধানে জাতির পিতা সমবায়ের কথা বলে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। তিনি দরিদ্র্য-সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভাগ্যন্নোয়নে গণমুখী সমবায় আন্দোলনের স্বপ্ন দেখেছিলেন।

‘উৎপাদিত পণ্য যাতে বাজারজাত করা যায়, তার একটা নিয়ম থাকবে। বঙ্গবন্ধু এমন একটা নীতিমালা তৈরি করেছিলেন। তবে তিনি সেটা বাস্তবায়ন করতে পারেননি। যদি সেটা পারতেন, তবে দেশ আজ ক্ষুধামুক্ত থাকত।’

সমবায় সমিতিগুলোর প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ বছর করোনা ভাইরাস পুরো বিশ্বে স্থবিরতা সৃষ্টি করলেও সমবায় সমিতিগুলো নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে।’

তিনি বলেন, ‘সদস্যদের ঋণ মওকুফসহ দুর্গত সদস্যদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

বঙ্গবন্ধুর সমবায় নীতির কথা উল্লেখ করে তার মেয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একটা সমবায় নীতি গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তিনি বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। সেটা যদি বাস্তবায়ন করতে পারতেন, তাহলে আজ বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত থাকত।

‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে, তিনি যে এত কিছু দিয়ে গিয়েছিলেন, সমবায়গুলোর জন্য, সেগুলো পর্যাপ্ত ও যথাযথ কাজে লাগেনি। সেটা একটা লুটপাটের জায়গায় চলে আসছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসি, তখন অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছিলাম, যাতে কোনো মানুষ না খেয়ে না থাকে। কোনো একটা পরিবার যেন পেছনে পড়ে না থাকে, তার জন্য বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করেছিলাম।’

‘আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় আমরা গ্রামের মানুষদেরকে একটা সুন্দর জীবন দিতে পেরেছি। এখনো এই প্রকল্প চলমান। এ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ২১ হাজার ৫৪২টি সমবায় সমিতি গঠন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে আমরা সমবায় সমিতি আইন নতুন করে ঢেলে সাজাই। ২০১২ সালে নীতিমালা প্রণয়ন করি। ২০১৩ সালে আইন সংশোধন করে সেটা যুগোপযোগী করেছি।

‘কারণ এখন অনেক কিছু প্রশিক্ষণের ব্যাপার আছে। সেই সাথে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড-২০১৮ আইন তৈরি করেছি। জাতির পিতার প্রতিষ্ঠিত পথই আমাদের একমাত্র পথ। এ পথে আমরা দেশকে এগিয়ে নিতে যেতে পারব।’  

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এখন প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। ৯৭ ভাগ মানুষ এখন বিদ্যুতের আওতায়। আশা করি ২০২১ সালের মধ্যে ১০০ ভাগ ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে যাবে।’

গ্রামোন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “মানুষ যেন গ্রামে বসেই কাজ করে খেতে পারে, এই জন্য সব গ্রামকে শহরে পরিণত করা হবে। আমরা ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এর মাধ্যমে গ্রামের মানুষ শহরের সব সুবিধা পাবে।”

তিনি বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রামের ধারণা নিয়ে কাজ করছি। এর আওতায় ১০টি গ্রামে এখন মডেল হিসেবে দাঁড় করানোর কাজ চলছে। গ্রামের মানুষ উন্নত জীবন পায়, সে ব্যবস্থা করে যাচ্ছি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এখন আর ঋণের বোঝা টানা লাগবে না। আমরা ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের ব্যবস্থা নিয়েছি। কাউকে এখন ঋণের দায়ে দেশান্তরি হতে হবে না। কারও বাড়িঘর, গরু কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর