বগুড়ায় জঙ্গি সংগঠন ‘নব্য জেএমবি’র চার সদস্যকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। এদের দুই জন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের ছাত্র। একজন সরকারি ও আরেকজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন।
শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিহারা এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়।
উদ্ধার করা হয়েছে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিন, দুইটা গুলি, একটি দেশীয় ওয়ানশ্যুটার গান, দুইটি কার্তুজ, একটি চাপাতি ও এক কেজি বিস্ফোরক।
শনিবার জেলা পুলিশের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এই কথা জানান রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি আবদুল বাতেন।
আটকেরা হলেন গোপালগঞ্জের মকসুদপুর উপজেলার তরশ্রীরামপুর এলাকার তানভীর আহম্মেদ ওরফে আবু ইব্রাহীম, টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার জগতপোড়া গ্রামের জাকারিয়া জামিল, ময়মনসিংহের চকশ্যামরামপুরের আতিকুর রহমান ও আবু সাঈদ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পুলিশ জানতে পারে চণ্ডিহারায় তানভীর ও জাকারিয়া নাশকতা পরিকল্পনা করছিলেন। পরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।
পুলিশ জানায়, তানভীর নব্য জেএমবির আইটি শাখার সদস্য। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী।
চলতি বছরের শুরুতে আশুলিয়ায় তানভীরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জঙ্গিবাদবিষয়ক বই, ড্রোন তৈরির সরঞ্জামসহ তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় স্ত্রীহ তানভীরের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা হয়।
আর জাকারিয়া নব্য জেএমবির মিডিয়া শাখার প্রধান। জঙ্গি নিয়ে বিভিন্ন প্রকাশনা তিনি আরবি থেকে বাংলায় অনুবাদ করে প্রচার করতেন। তিনিও আশুলিয়া থানায় সেই মামলার আসামি।
পুলিশ আরও জানায়, আতিকুর ও সাঈদ নব্য জেএমবির সদস্য। আতিকুর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি সংগঠনে নতুন সদস্য ও অর্থ সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন।
সাঈদ জঙ্গিদের পক্ষে লড়াই করতে মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আবদুল বাতেন জানান, এই চার জনের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দুটি মামলা হয়েছে। তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।