নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তাসিন হত্যার ১৮ মাস পর রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআই বলছে, মামলার প্রধান আসামি নজরুলসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতারের তারা জানিয়েছেন হত্যার পেছনের কারণ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পিবিআইয়ের নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্রেফতারের পর সাত বন্ধুকে নিয়ে তাসিনকে খুনের কথা স্বীকার করে শুক্রবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন নজরুল।
তিনি বলেন, ‘ধারের পাঁচশ টাকা ফেরত চাওয়ায় পরিকল্পনা করে পানিতে ডুবিয়ে মারা হয় তাসিনকে।’
গত বছরের ২ মে রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন এলাকার ৩০০ ফুট রাস্তার পাশে তাসিনের মরদেহ পাওয়া যায়।
শুক্রবার প্রধান আসামি নজরুলকে গ্রেফতার করে আদালতে নেয় পুলিশ। জবানবন্দি শেষে আদালত নজরুলকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
নজরুলের জবানবন্দির কথা উদ্ধৃত করে পিবিআইর পুলিশ সুপার জানান, ধার নেয়ার আট দিন পরেই তাসিন টাকা ফেরত চান। নজরুল চার-পাঁচ দিন সময় চাইলে তাসিন তাকে গালিগালাজ করেন। তাসিনের আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে দুই দিন পর তাকে ‘উচিত শিক্ষা’ দেয়ার পরিকল্পনা করেন নজরুল।
তিনি জানান, এজন্য নজরুল তার আরেক বন্ধু শুক্কুরের সঙ্গে পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী গত বছরের ১ মে নজরুল, শাওন, ইমরান, শামীম, আব্বাস মিয়া, তাহের, নাদিম ও শুক্কুর আলী তাসিনকে নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় রূপগঞ্জের পূর্বাচল ৩০০ ফুট রাস্তার কাছে লেকে গোসল করতে যান।
পিবিআই কর্মকর্তা মনিরুল বলেন, ইমরান, আব্বাস, শুক্কুর, তাহের, নাদিম, শাওন, তাসিনসহ নজরুল ইসলাম লেকের পানিতে নামে। শামীম লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকে। একপর্যায়ে নজরুল অন্যদের তাসিনকে ধরতে বলেন। শাওন তাসিনের হাত ধরেন, শুক্কুর তাসিনের গলা ধরেন, ইমরান ধরেন পা, নজরুল তাসিনের ঘাড় ধরে মাথা ও মুখ পানিতে ডুবিয়ে রাখেন। তাসিনের মৃত্যু নিশ্চিত করে মরদেহ লেকের পানিতে ফেলে বাড়ি ফেরেন তারা।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’