বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন চাই: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ৬ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:০৪

‘আমরা আশা করছি যে, বিশ্ব শীগগিরই কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে কার্যকর ভ্যাকসিন পেতে চলেছে। বিশ্বের সকল দেশের জন্য বিশেষত: এলডিসি এবং উন্নয়নশীল দেশের জন্য এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাবার জন্য ব্যবস্থা করা জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।’

স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দিতে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীদের ফোরাম এশিয়া ইউরোপ ফিনান্স মিনিস্টারস মিটিং- আসেমের ১৪ তম সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে এমন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আর্থিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে এশীয় ও ইউরোপীয় জাতিসমূহের জন্য আসেম হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম। অংশীদার দেশসমূহের জন্য গুরুত্ব বহন করে এমন অভিন্ন অর্থনৈতিক ও আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে চতুর্দশ আসেম অর্থমন্ত্রী সভাটি আলোচনা করবে।

শুক্রবার করোনাকালে এই সভাটি হয় ভার্চুয়ালি। প্রধানমন্ত্রী এতে দেন ভিডিও বার্তা। এর সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করছি যে, বিশ্ব শীগগিরই কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে কার্যকর ভ্যাকসিন পেতে চলেছে। বিশ্বের সকল দেশের জন্য বিশেষত: এলডিসি এবং উন্নয়নশীল দেশের জন্য এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাবার জন্য ব্যবস্থা করা জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।’

উন্নত দেশসমূহ, এমডিবি ও আইএফআইএসসমূহ এ ক্ষেত্রে উদার সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা অতীতে  শিখেছি যে বিচ্ছিন্নতা নয়, বরং সহযোগিতা যে কোনও সংকট কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করতে পারে। এই কঠিন সময়ে আমাদের সমৃদ্ধির পথে সকল ধরনের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে অধিকতর পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’

কোভিড-১৯ মহামারি বহুমুখী বৈশ্বিক সমস্যা তৈরি করেছে এবং বৈশ্বিক ভাবেই এটির সমাধান করা দরকার বলেও মত দেন প্রধানমন্ত্রী। সংকট মোকাবিলায় সু-সমন্বিত রোডম্যাপও চেয়েছেন তিনি।

কোভিড মহামারি সব দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও অর্থনীতিতে ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জনগণের বেশিরভাগই আয় হ্রাস ও চাকরি হারানোর সম্মুখীন হয়েছে। দারিদ্র্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে, স্বাস্থ্য খাত কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। অধিকাংশ দেশেই টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের সুচকসমূহের অর্জন ও কষ্টার্জিত সমৃদ্ধি এখন হুমকির সম্মুখীন। স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহ এ মহামারির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

করোনার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সরকার এখন পর্যন্ত আমাদের অর্থনীতির বিভিন্ন সেক্টরের পাশাপাশি আমাদের সমাজের বিভিন্ন খাতকে সহায়তা করার জন্য ১৪.১৮ বিলিয়ন ডলার সমতুল্য ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এই সহায়তা প্যাকেজের পরিমাণ জিডিপির ৪.৩ শতাংশের সমান।’

কয়েক মাসব্যাপী মহামারির প্রাথমিক ধাক্কা সামলানোর পর আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রপ্তানি, প্রবাস আয়, কৃষি উৎপাদন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সর্বশেষ প্রবণতাই এটি নির্দেশ করে যে, আমাদের অর্থনীতি এখন টেকসই প্রবৃদ্ধির পথে পুনরায় ফিরে আসছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, রাজস্ব প্রণোদনা, কনসেশনাল আর্থিক সহায়তা এবং ঋণের মাত্রা কমানোর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ এলডিসি ও উন্নয়নশীল দেশসমূহকে বেইল আউটের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য জি- ৭, জি-২০, ওইসিডি দেশসমূহ, বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাসমূহকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

উন্নত অর্থনীতির দেশসমূহকে অবশ্যই উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য প্রতিশ্রুত অথচ এখন পর্যন্ত কোটা মুক্ত বাজার সুবিধা এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করতে হবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে চলমান ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে সভাটি আড়ম্বরপূর্ণভাবে আয়োজন করতে চেয়েছিল সরকার। তবে বৈশ্বিক মহামারির কারণে ভাচুর্য়ালি করতে হয় বলে আক্ষেপের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এ বিভাগের আরো খবর