ঢাকার ধামরাইয়ে পায়ে শিকল পরিয়ে গাছে বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতনের মামলায় স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্বামী নুরুল করিম কাঞ্চনসহ চারজনের নামে ধামরাই থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। পরে রাতেই কাঞ্চনকে ধরে ফেলে পুলিশ।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন: গৃহবধূর দেবর রফিকুল ইসলাম অলিদ, কাঞ্চনের বোন শাহনাজ চৌধুরী ও প্রথম স্ত্রীর ছেলে হৃদয় চৌধুরী।
বুধবার সকালে উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের বেলীশ্বর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে ওই গৃহবধূ নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ আছে।
মামলায় বলা হয়, দুই স্ত্রীর মৃত্যুর পর প্রায় ৯ বছর আগে কাঞ্চন ওই নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন কাঞ্চন।
এ নিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন সইতে না পেরে ওই নারী বিভিন্ন সময় বাবার বাড়িতে যেতেও বাধ্য হন।
‘সংসার বাঁচাতে’ তিন লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকারও কাঞ্চনকে এনে দেন। গত বুধবার বাকি দুই লাখ টাকার জন্য ওই নারীকে পায়ে শেকল পরিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়।
ওই সময় তিনি চিৎকারে দিলে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করেন। পরে গৃহবধূর বাবা-মা ও স্বজনরা গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
গৃহবধূর মায়ের অভিযোগ, যৌতুকের জন্য অনেকদিন ধরেই তার মেয়েকে নির্যাতন করে আসছিল কাঞ্চন ও তার পরিবারের সদস্যরা। কাঞ্চনের একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। তার মেয়ে এটি বুঝতে পারায় বেশি নির্যাতন করা হতো।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুপুরে কাঞ্চনকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হবে। মামলার অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’