রংপুরের তারাগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার হুমকির মামলায় এক ইমামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইমামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ইমামের নাম আতিকুর রহমান। তিনি তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঝাকুয়া পাড়ার ঘড়িরামপুর গ্রামের একটি মক্তব কাম মসজিদে নামাজ পড়াতেন, শিশুদের কোরআন পড়া শিখাতেন।
অসুস্থ শিশুটিকে প্রথমে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় বলা হয়, বুধবার সকাল আটটার দিকে শিশুটি আরবি শিখতে ইমাম আতিকুরের কাছে যায়। সকাল ১০টার দিকে আতিকুর অন্য শিশুদের ছুটি দিলেও তাকে আরও পড়াবেন বলে রেখে দেন। পরে তাকে ধর্ষণ করেন।
পুলিশ বলছে, শিশুটি যেন এই ঘটনা কাউকে না বলে জন্য তাকে ভয় ভীতি দেখান ইমাম। এমনকি মেরে ফেলার হুমকি দেন।
বিকেলে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে সে তার মাকে ঘটনা খুলে বলে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এলাকাবাসী। তারা ইমামকে ঘেরাও করে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
আতিকুর সকালে মসজিদের বারান্দায় শিশুদের আরবি শেখান। ভুক্তভোগী শিশুটি এক বছর ধরে তার কাছে আরবি শিখছে।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘শিশুর বাবা ইমাম আতিকুরের বিরুদ্ধে মামলা করলে আমরা তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠাই। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।’