বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাল্যবিয়ের দায় এড়াতে সেই চেয়ারম্যানের সনদ জালিয়াতি

  •    
  • ৫ নভেম্বর, ২০২০ ২১:৪৩

সম্প্রতি ৪৫ বছরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বিয়ের খবরটি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পোর্টালে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ হলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন চেয়ারম্যান।

বাল্যবিয়ে করা কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকারের বিরুদ্ধে এবার সনদ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এর মাধ্যমে তিনি সদ্য বিয়ে করা স্ত্রীর বয়স বাড়িয়ে দেখিয়ে বাল্যবিয়ে করেননি বলে প্রচার চালাচ্ছেন।

সম্প্রতি ৪৫ বছরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বিয়ের খবরটি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পোর্টালে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ হলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন চেয়ারম্যান।

ওই কিশোরীর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিএসসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার সনদ হাতে পাওয়ার পর জালিয়াতির বিষয়টি বেরিয়ে আসে।

পিএসসি ও জেএসসি সনদে ওই কিশোরীর জন্ম তারিখ ২৩-০৯-২০০৩ ইং উল্লেখ রয়েছে। সে হিসাবে তার বর্তমান বয়স ১৭ বছর ১ মাস ১২ দিন।

ভুয়া সনদের লিপিকার জোবাইদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৎকালীন সহকারী শিক্ষক মেহেরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক ভালো বলতে পারবেন। আমি কিছু জানি না।’

তৎকালীন প্রধান শিক্ষক প্রবীর কুমার রায়ের সঙ্গে ভুয়া সনদের ব্যাপারে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ডিআর অনুযায়ী ওই শিক্ষার্থীর পিএসসি সনদ দেয়া হয়। তবে কীভাবে এমনটা হলো বুঝতে পারছি না। তদন্ত করলে সত্যতা বেরিয়ে আসবে।’

উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের দরিদ্র ওই শিক্ষার্থীকে বিয়ে করার জন্য চেয়ারম্যান মেয়েটির পরিবারকে আর্থিক সহায়তার প্রলোভন দেখাতে থাকেন। যদিও চেয়ারম্যানের এক স্ত্রী ও কলেজ পড়ুয়া একটি মেয়ে রয়েছে। এরই মধ্যে গত রোববার রাতে ৬ লাখ টাকা দেনমোহরে চেয়ারম্যানের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে হয়।

 

চেয়ারম্যানের এ প্রতারণার বিষয়টি ফাঁস হলে নতুন করে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

এ বিষয়ে বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকার মুঠোফোনে বলেন, ‘বিয়ের মজলিসে মেয়ের পরিবার পিএসসির ওই সনদটি দেখিয়েছে। তাৎক্ষণিক এর সত্যতা যাচাই করার সুযোগ না থাকায় বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে এ সনদ তারা কোথায় পেয়েছে তা আমি জানি না।’

একজন ইউপি চেয়ারম্যান বাল্যবিয়ে করলেও প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকা নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্রাহাম লিংকন বলেন, এটা ফৌজদারী অপরাধ। ঘটনার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত করার সুযোগ ছিল না। তবে তার (চেয়ারম্যান) বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে মামলা দায়েরের সুযোগ রয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর