বরিশালে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় পুলিশ সদস্য রুহুল আমিনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।
দণ্ডিত রুহুল আমিন উজিরপুর উপজেলার কাজিরা এলাকার মৃত নুরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে নায়েক পদে আছেন।
রায় ঘোষণার সময় রুহুল আমিন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
মামলায় বলা হয়, ২০০৩ সালের ১৬ এপ্রিল রুহুল আমিন উজিরপুর উপজেলার হস্তিশুন্ড এলাকার সেলিনা বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের ৮ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ২০১৪ সালের দিকে রুহুল আমিন স্ত্রীর কাছে মিশনে যাবার কথা বলে দুই লাখ টাকা যৌতুক চান।
সেলিনা তার বাবার কাছ থেকে এক লাখ টাকা এনে দেন। আরও একলাখ টাকা না দেয়ায় স্ত্রী-পুত্রকে শ্বশুড় বাড়িতে পাঠিয়ে দেন রুহুল।
২০১৫ সালের ২৪ মার্চ বিকেলে রুহুল টাকার জন্য শ্বশুর বাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে মারধর করেন। স্থানীয়রা সেলিনাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের ভর্তি করে।
ওই ঘটনায় উজিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন সেলিনা। ২৪ মার্চ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শহিদুর রহমান রুহুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন।
ট্রাইব্যুনাল সাত জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করেন।