বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘অভিজাত মাদক’ আইস বিক্রির ‘হোতা’ আটক

  •    
  • ৫ নভেম্বর, ২০২০ ২০:০১

প্রতিবার আইসের দুই-তিনটি কণা পরিমান মাদক নিতে খরচ হয় প্রায় ১২ হাজার টাকা। এ কারণে এটিকে ‘অভিজাতদের মাদক’ বলছে পুলিশ।

‘অভিজাত মাদক’ হিসেবে পরিচিত আইস আমদানি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক জনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।রাজধানীর গেণ্ডারিয়া এলাকা থেকে বুধবার রাতে স্বর্ণব্যবসায়ী চন্দন রায়কে আটক করা হয়। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, চন্দনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত আরও পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- সিরাজ, অভি, জুয়েল, রুবায়েত ও ক্যানি । আটকদের কাছ থেকে ৬০০ গ্রাম আইস উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, চন্দন রায় পেশায় একজন স্বর্ণব্যবসায়ী। তবে এর পাশাপাশি এক প্রবাসী আত্মীয়ের মাধ্যমে মালয়েশিয়া থেকে আইস নামের মাদক দেশে আনাতেন। দেশে মাদকটির বাজার তৈরির চেষ্টা করছিলেন চন্দন। এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় মাদককারবারিরা টার্গেট করতেন উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের।

হাফিজ আক্তার আরও জানান, দেশে আইস একেবারেই নতুন মাদক। যা সেবু, ক্রিস্টাল ম্যাথ, ডি ম্যাথসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত। ক্রিস্টাল বা ক্ষুদ্র দানা আকারে এটি দেশে আনা হয়।

তিনি বলেন, এটি মূলত স্নায়ু উত্তেজক মাদক, যা গ্রহণের ফলে স্বাভাবিক সময়ে তুলনায় হরমোনের উত্তেজনা প্রায় এক হাজার গুণ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ব্রেন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আইসের তীব্র রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দাঁতও ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যায়।

প্রতিবার আইসের দুই-তিনটি কণা পরিমান মাদক নিতে খরচ হয় প্রায় ১২ হাজার টাকা। এ কারণে এটিকে ‘অভিজাতদের মাদক’ বলছে পুলিশ।

এ ঘটনায় গেণ্ডারিয়া থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর