আলোচিত ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের সম্পদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ।
দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বৃহস্পতিবার দুদকে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।
কমিশনার বলেন, ‘আমরা হাজী সেলিমের সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করছি। এখনও কোন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়নি। তথ্য সংগ্রহ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় গত ২৬ অক্টোবর ছেলে ইরফান সেলিম গ্রেফতারের পর হাজী সেলিমের দখলদারিত্বের বিষয়টি সামনে আসে।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে অগ্রণী ব্যাংকের এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মেঘনাঘাট এলাকায় সরকারি খাস জমির অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে আরও বেশ কিছু জমি ও বাড়ি দখলের অভিযোগ আছে সরকার দলের এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে।
দুর্নীতি দমন কমিশন গত ২৮ অক্টোবর হাজী সেলিম ও তার ছেলের সম্পদের তথ্য চায় দুদক।
কমিশনার মোজাম্মেল বলেন, দুদক এখন সফল ও কার্যকরী প্রতিষ্ঠান। ২০১৫ সালে দুদকের মামলার সাজার হার ছিল ৩৭ ভাগ। এর পরের চার বছরে সাজার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ ভাগ। এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সাজার হার ৭৭ ভাগ। মানি লন্ডারিং মামলার ক্ষেত্রে সাজার হার শতভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে।
মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘মামলা পরিচালনার সময় আইনজীবীরা সব দিক খতিয়ে মামলা পরিচালনা করছে বলে সাজার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে ২৩ ভাগ সাজা হচ্ছে না, সেসব মামলার কোথাও না কোথাও ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকছে। আমরা সেগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।’