গণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্রের মোড়কে একদলীয় শাসন কায়েক করেছে আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বিএনপি নেতা।
আওয়ামী লীগ দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে অভিযোগ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘এ থেকে মুক্তি লাভের জন্য আমাদের যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত আছে, সেটাকে তীব্র থেকে তীব্র রূপে নিয়ে যেয়ে এই দানব আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’
সরকার ভয়ে খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে অভিযোগ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বাহিরে থাকলে নির্বাচনের পূর্বে আপনার যেটা করেছেন, সেটা করতে পারতেন না। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যে আন্দোলন সংগ্রাম হতো তাতে আপনারা টিকে থাকতে পারতেন না।’
ফখরুল বলেন, বিএনপিই হচ্ছে একমাত্র রাজনৈতিক দল, যে দল গণতন্ত্র ‘ফিরিয়ে আনতে পারে’।
‘দেশে আজকের যে সংকট সেই সংকট আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করেছে। তারা মানুষের ভোটের অধিকারটা পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে’-বলেন বিএনপি নেতা।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর বিএনপি দুই দফা আন্দোলনের ডাক দিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৩ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এবং ২০১৫ সালে সরকার পতনের আন্দোলনে নেমে খালি হাতে ঘরে ফেরে দলটি। এরপর থেকে সড় ধরনের কর্মসূচি আর আসেনি।
বিএনপি রাজনীতিতে বেকায়দায় থাকলেও তারাই সংসদের বাইরে সরকারের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। আর সরকার দলের নেতাদের আক্রমণও এই দলটিকে ঘিরেই হয়।এই বিষয়টি উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘আপনারাই বলেন, বিএনপি সংকটে পড়েছে, নেতৃত্বের অভাব, বিএনপিতে অন্ধকার। তাহলে মুখে সারাক্ষণ বিএনপি কেন- আমার প্রশ্ন ওই জায়গায়। তাদের মুখে এতো আলো কেন বিএনপির? তাদের কথা বলার মূল বিষয়বস্তু বিএনপি কেনো-এই জায়গায় আমার প্রশ্ন?’
পণ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্যও সরকারকে দায়ী করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘আপনারা দেখবেন দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। প্রতিটা পন্যের দাম চার গুণ, পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের লুটপাটের জন্য তারা সিন্ডিকেট তৈরি করেছে এবং সেই সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জনগণের টাকা লুটপাট করা হচ্ছে।’