বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুদ্ধ চাই না, তবে আক্রান্ত হলে মোকাবিলা: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ৫ নভেম্বর, ২০২০ ১৫:৫৯

নৌবাহিনীতে পাঁচটি জাহাজের কমিশনিং। এগুলোর মধ্যে দুটি চীনে তৈরি করা আধুনিক সমরাস্ত্র সজ্জিত ফ্রিগেড, একটি অত্যাধুনিক করবেট এবং বাকি দুটি খুলনা শিপইয়ার্ডে তৈরি আধুনিক জরিপ জাহাজ।

বাংলাদেশ কারও সঙ্গে যুদ্ধ চায় না। তবে আক্রান্ত হলে মোকাবিলার জন্য সক্ষমতা আছে বলে জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজের কমিশনিং করে এ কথা বলেন সরকার প্রধান।

চট্টগ্রামে বানৌজা ঈসা খা নৌ জেটিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জাহাজগুলোর অধিনায়কগণের হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল।

জাহাজগুলোর নাম রাখা হয়েছে, ‘বানৌজা ওমর ফারুক’, ‘আবু উবাইদাহ’, ‘প্রত্যাশা’, ‘দর্শক’ ও ‘তল্লাশী’।

চীনে তৈরি ফ্রিগেট ‘ওমর ফারুক’ ও ‘আবু উবাইদাহ’র দৈর্ঘ্য প্রতিটির ১১২ মিটার ও প্রস্থ ১২ দশমিক ৪ মিটার এবং করভেট যুদ্ধজাহাজ বানৌজা প্রত্যাশার দৈর্ঘ্য ৯০ মিটার ও প্রস্থ ১১ দশমিক ১৪ মিটার।

বাকি দুটি খুলনা শিপইয়ার্ডে তৈরি আধুনিক জরিপ জাহাজ।

যুদ্ধজাহাজ গুলো ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে পারে।

এগুলো শত্রু বিমান, জাহাজ ও স্থাপনায় আঘাত হানতে সক্ষম আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কামান, ভূমি থেকে আকাশে এবং ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপণযোগ্য মিসাইল, অত্যাধুনিক থ্রিডি রাডার, ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, রাডার জ্যামিং সিস্টেমসহ নানা ধরনের সরঞ্জামে সজ্জিত।

জাহাজগুলো নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করবে আশা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌবাহিনীর অগ্রযাত্রা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।’

শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। কিন্তু যদি বাংলাদেশ কখনও বহি:শত্রুর আক্রমণ দ্বারা আক্রান্ত হয় তাকে মোকাবিলা করবার মতো সক্ষমতা আমরা অর্জন করতে চাই।

‘তাই আমরা সমুদ্র সীমা রক্ষার জন্য নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলছি।’

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, জাতির পিতা বলে গেছেন, ‘ভূরাজনৈতিক প্রয়োজনে একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠন করা হবে। আমরা তার (বঙ্গবন্ধু) পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌবাহিনীতে উন্নত সাবমেরিন, যুদ্ধ জাহাজ, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্র্যাফট, হেলিকপ্টারসহ আধুনিক সরঞ্জাম সংযোজন করেছি। এর মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা একটি ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী গঠনের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি।’

নিজ দেশে জাহাজ নির্মাণ সক্ষমতার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব ইয়ার্ডে জাহাজ তৈরির সক্ষমতা এটা আমাদের আত্মবিশ্বাসকে বলীয়ান করে। ‘আমরা হয়ত ভবিষ্যতে অন্য দেশের জন্যও জাহাজ তৈরি করতে পারব’।

সরকার সমুদ্র সীমা রক্ষার পাশাপাশি সমুদ্র সম্পদ আহরণ করে দেশকে সমৃদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। নৌবাহিনী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে কোনো প্রাকতিক দুর্যোগেও তারা মানুষের পাশে দাঁড়ায়।’

সবাইকে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আবার করোনা ভাইরাস সারাবিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ছে। ইউরোপে ইতিমধ্যেই অনেক জায়গায় লক ডাউন হয়েছে। আমাদের দেশের মানুষকে আমরা সুরক্ষিত রাখতে চাই। কাজেই এখন থেকেই সচেতন থাকতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর