বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বুড়িমারীতে নির্মমতা: চার আসামি রিমান্ডে

  •    
  • ৫ নভেম্বর, ২০২০ ১২:০২

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গত ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে তর্কাতর্কির পর ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শহীদুন্নবী জুয়েলকে। পরে তার দেহে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে মসজিদে তর্কাতর্কির জেরে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার মামলার চার আসামিকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে রিমান্ডের এ আদেশ দেন জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলি আদালত-৩-এর বিচারক বেগম ফেরদৌসী বেগম।

ওই চার জন হলেন মসজিদের খাদেম জোবেদ আলী, রবিউল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ও মেহেদী হাসান রাজু।

এ নিয়ে শহীদুন্নবী হত্যা মামলায় ৯ জনকে রিমান্ডে দিয়েছে আদালত। গত মঙ্গলবার পাঁচ আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয় আদালত। 

এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে বুড়িমারীর উফারমারা থেকে আবু নাঈম (৩৭) ও আব্দুল গণি (৩৯) নামের দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গ্রেফতার করা হলো ২৩ জনকে।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক। তিনি নিউজবাংলাকে জানান, গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবারই আদালতে হাজির করা হবে।

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গত ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে তর্কাতর্কির পর ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শহীদুন্নবী জুয়েলকে। পরে তার দেহে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান ছিলেন শহীদুন্নবী জুয়েল।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হয়, তিনি একজন ধার্মিক ব্যক্তি। পরিচিতজনরা বলেছেন, তিনি নিয়মিত নামাজ পড়তেন। হজে যাওয়ারও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

ওই দিন আসরের নামাজ পড়তে শহীদুন্নবী জুয়েল বুড়িমারী কেন্দ্রীয় মসজীদে যান। সেখানে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে কোরআন অবমানার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।

পুলিশ জানিয়েছে, সেদিন জুয়েল ও তার বন্ধুর সঙ্গে মসজিদে তর্কাতর্কির ঘটনাটি মোটামুটি মীমাংসা হয়ে গিয়েছিল। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে যখন দুই জনকে নেয়া হয়, এরপর দলে দলে লোক আসতে থাকে।

পরিষদ কার্যালয়ে থাকা দুই জনের মধ্যে ওসি সুমন একজনকে নিয়ে বের হয়ে যেতে সক্ষম হলেও হামলাকারীরা শহীদুন্নবীকে পিটিয়ে হত্যা করে।

পরে মরদেহ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে কয়েকশ গজ দূরে নিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর