হারানো মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সেলুন মালিক শ্রীবাস চন্দ্র ঋষি (৩৫) হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।
নিহত শ্রীবাস বাজিতপুর উপজেলার দিঘীরপাড় ঋষিপাড়ার রাম প্রসাদ ঋষির ছেলে।
সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘটনায় জড়িত অভিযোগে শ্রীবাসের দোকানের কর্মচারী সুকেশ ঋষিকে মঙ্গলবার ভোরে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তিনি কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বলেছেন, সেলুনের মধ্যেই পিটিয়ে হত্যার পর লাশ ফেলে দেন বালুর মাঠে। তারপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, শ্রীবাস চন্দ্র ঋষি গত ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে সেলুন বন্ধ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। পরিবারের লোকজন তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পায়। পরদিন ঋষিপাড়া বালুর মাঠের পাশ থেকে শ্রীবাসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২৬ জানুয়ারি তার ছোট ভাই দিবাস চন্দ্র ঋষি বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে বাজিতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। ৩ মার্চ মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আনিসুর রহমান জানান, সিআইডি তদন্ত করতে গিয়ে নিহতের মোবাইল সেট চালু জানতে পারে। সোমবার বাজিতপুর বোর্ড বাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ইমন মিয়ার কাছ থেকে সেটটি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ইমন জানান, মোবাইল সেটটি তার ছোটভাই রিজনের কাছ থেকে নিয়েছেন।
রিজনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, শ্রীবাস ঋষির সেলুনের কর্মচারি সুকেশ ঋষির কাছ থেকে তিন হাজার টাকায় সেটটি কেনেন তিনি। পরে মঙ্গলবার ভোরে রিজনের তথ্য মতে বাজিতপুর থেকে সুকেশকে আটক করা হয়।
সুকেশ জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ঘটনার দিন সেলুনের মধ্যেই টাকা নিয়ে শ্রীবাসের সঙ্গে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মাটিতে পড়ে যান শ্রীবাস। পরে আরও আঘাতে নিস্তেজ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে মরদেহ ঋষিপাড়া বালুর মাঠে ফেলে চলে যান সুকেশ।