বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার সাক্ষীর জেরা হয়নি

  •    
  • ৪ নভেম্বর, ২০২০ ২০:২১

২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা হয়। মামলার এক আসামি আপিল করায় বিবাদীপক্ষের আইনজীবীরা বাদীর সাক্ষীকে জেরা করেননি।

অসম্পূর্ণ জেরা সম্পূর্ণ করতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অস্বীকৃতি জানানোয় সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলা মামলার বাদীর সাক্ষ্য জেরা সম্পন্ন হয়নি মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে লিভ টু আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য্য করায় সাক্ষীর জেরায় অংশ নিতে তারা অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

তবে বাদীপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, আসামিরা মামলা বিলম্বিত করতে টালবাহানা শুরু করেছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল মজিদ জানান, অভিযোগপত্রে অন্তর্ভূক্ত তৎকালীন শিশু আসামি রাকিবুর রহমান ২০১৩ সালের শিশু আইনে তার বিরুদ্ধে পৃথক চার্জশিট ও পৃথক বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন। জজ আদালতে আপিল গৃহীত না হওয়ায় তিনি উচ্চতর আদালতে আবারও আপিল করেন।

২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ প্রদান করে আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চতর আদালত গত ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন।

ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি চেম্বার জজের নিয়মিত বেঞ্চে আপিল আবেদনের ওপর শুনানির জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। সে প্রেক্ষিতে আদালত অবমাননা হওয়ার আশঙ্কায় সাক্ষীকে জেরা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল লতিফ জানান, মামলার বাদী গুরুতর অসুস্থ বয়স্ক ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন। তাকে জেরা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। বিচারক সেটি রেকর্ড করেছেন।

তিনি জানান, মামলাটির নয় সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে কোয়াশমেন্ট আবেদন করেন আসামিরা। এরপর চলতি বছরের ২২ অক্টোবর উচ্চ আদালত থেকে মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়ে ৯০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ শেষ করতে মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়।

২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ধর্ষণের শিকার এক নারীকে দেখতে আসেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ ওঠে সাতক্ষীরা-১ আসনের তৎকালীন সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৭০ থেকে ৭৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করতে যান। তবে তাতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালতে মামলা করেন তিনি।

পরে আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে সাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ সফিকুর ইসলাম। 

এ বিভাগের আরো খবর