লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও কুমিল্লার মুরাদনগর বর্বরতাকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ উল্লেখ করে আইন হাতে তুলে না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
প্রতিটি ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে ও পরধর্ম সহিষ্ণু হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা বলেন, ‘কারো ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত করে বা কটাক্ষ করে পোস্ট দেয়া প্রত্যাশিত নয়। এ ধরনের উস্কানিমূলক পোস্ট শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
‘পাশাপাশি অন্য ধর্মের প্রতি কেউ কটাক্ষ করবেন না। পৃথিবীর সকল ধর্মবিশ্বাসই অন্য ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।’
বুধবার রাজধানীতে নিজের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।
গত ২৯ অক্টোবর বুড়িমারীতে মসজিদে তর্কাতর্কির পর এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়।
এই ঘটনার বেশ কাটতে না কাটতেই ১ নভেম্বর ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে মুরাদনগরে কয়েকটি হিন্দু বাড়িতে তাণ্ডব চালানো হয়।
এই দুটি ঘটনা নিয়ে এই প্রথম কথা বললেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম এবং কুমিল্লার মুরাদনগরে দুটি ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সকলের প্রতি ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উস্কানিমূলক কিছু নজরে এলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আনুন।
‘গুজবের উপর ভর করে কারও জীবন ও সম্পদের ওপর আঘাত না হানবেন না। কোনো ধরনের গুজবে কান দেবেন না।’
একটি ‘মতলবি মহল’ উদ্দেশ্যমূলক গুজব ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে সড়ক মন্ত্রী বলেন, ‘তারা সামাজিক শান্তি, স্বস্তি এবং আমাদের ঐতিহ্যগত সকল ধর্মের মানুষের বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান নষ্ট করতে চায়। এসব মিথ্যা প্রচারণা নি:সন্দেহে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
‘সরকার মুক্তিযুদ্ধের সব অর্জন ধ্বংস করে দিচ্ছে’বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যেরও জবাব দেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ককে হত্যার সরাসরি বেনিফিশিয়ারি বিএনপি। তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জনক। যাদের হাত দিয়ে সিপাহী-জনতার বিপ্লবের নামে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছিল, তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের জন্য মায়াকান্না মানায় না।’