করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার চার জনে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৫১৭ জন। এ নিয়ে দেশে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল চার লাখ ১৪ হাজার ১৬৪ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৯১০ করোনা রোগীর সুস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ নিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা তিন লাখ ৩১ হাজার ৬৯৭।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় দেশে সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ। মৃত্যুহার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২১ জনের মধ্যে ২০ বছরের উপরে এক, ৪০ বছরের উপরে চার, পঞ্চাশোর্ধ্ব দুই ও ষাটোর্ধ্ব ১৪ জন। বিভাগ অনুযায়ী ঢাকায় ১২, চট্টগ্রামে পাঁচ, খুলনা একজন, বরিশাল একজন, রংপুরে একজন ও ময়মনসিংহে এক জন মারা গেছেন। তারা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনা শনাক্তের দিক থেকে ২১তম অবস্থানে বাংলাদেশ। মৃতের সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশ ৩১তম।
গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার। এখন দেশে সংক্রমণের সপ্তম মাস চলছে। শুরুর দিকে সংক্রমণ ধীর থাকলেও মে মাসের মাঝামাঝি থেকে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। জুনে তা তীব্র আকার নেয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের পর ২৫ মে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০০ জনে দাঁড়ায়। এ সংখ্যা ১০ জুন এক হাজারে পৌছায়। এরপর
৫ জুলাই করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দুই হাজারে দাঁড়ায়। এরপর মাত্র ১২দিনের মাথায় ১৭ জুলাই মৃতের সংখ্যা আড়াই হাজারে পৌছায়।
জুলাইয়ের শুরু থেকে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা কমতে থাকে। এ সময় পরীক্ষাও কম হয়। অবশ্য গত আগস্ট থেকে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যার পাশাপাশি পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণ শনাক্তের হারও কমতে দেখা গেছে।
১২ আগস্ট পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার, ২৫ আগস্ট পর্যন্ত চার হাজার , ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।