স্কুলছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ ঘটনায় রংপুরের হারাগাছে নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাহেনুল ইসলামকে পাঁচ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
একই সঙ্গে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার দুই নারী মেঘলা ও সুরভীকে নেয়া হয়েছে তিন দিনের রিমান্ডে।
রাহেনুলসহ তিন আসামিকে বুধবার সকালে রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তীর আদালতে হাজির করে পিবিআই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, ‘আমরা রাহেনুলের সাত দিন ও অপর দুই আসামির তিন দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেছিলাম।’
ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকার নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে ডিবির এএসআই রাহেনুল কৌশলে ঘনিষ্ঠ হন। ২৫ অক্টোবর ছাত্রীকে তিনি ক্যাদারের পুল এলাকার ভাড়াটিয়া সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়ার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে মেঘলা ও সুরভি আক্তারের সহযোগিতায় আরও দুজন ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
পুলিশ গিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় মেঘলা ও সুরভিকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ডিবি কর্মকর্তা রাহেনুলসহ দুই জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক জনকে আসামি করে হারাগাছ থানায় মামলা করেন। এরপরই গ্রেফতার হন পাঁচ জন। এরই মধ্যে দুই আসামি আবুল কালাম আজাদ ও বাবুল হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পিবিআই কর্মকর্তা এবিএম জাকির হোসেন জানান, ‘আমরা বিষয়টি নিখুঁতভাবে তদন্ত করছি। অভিযোগকারী যেন ন্যায় বিচার পায়, সে জন্য আমরা কাজ করছি।’