লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে শহীদুন্নবী জুয়েলকে হত্যা ও আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন গঠিত কমিটি তার বিরুদ্ধে কোরআন অবমাননার কোনো প্রমাণ পায়নি।
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টি এম এ মোমিন মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, দুই-এক দিনের মধ্যেই তারা প্রতিবেদন জমা দেবেন জেলা প্রশাসকের কাছে।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গত ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে তর্কাতর্কির পর ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ৫০ বছর বয়সী শহীদুন্নবী জুয়েলকে। পরে তার দেহে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
ঘটনার সময় শহীদুন্নবী জুয়েলের সঙ্গী ৫১ বছর বয়সী সুলতান জোবায়ের আব্বাসও আহত হন। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।
ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম ও পাটগ্রামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম কামরুন্নাহার।
আলোচিত এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত মসজিদের খাদেম জোবেদ আলীসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে; তাদের মধ্যে পাঁচজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা লিপিবদ্ধ করছি।
‘ঈমাম মোয়াজ্জেম, খাদেম ও উপস্থিত মুসল্লিদের জিজ্ঞাসা করে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, বুড়িমারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় (বাজার) মসজিদে আসরের নামাজের পর দুই জন অজ্ঞাত ব্যক্তি গোয়েন্দা পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করে, মসজিদে ঢুকে উপস্থিত মুসল্লিদের বোমা আছে বলে কোরআন শরীফের ওপর দাঁড়িয়ে তল্লাশি শুরু করে ও পবিত্র কোরআন অবমাননা করে- এসব কোনো অভিযোগ সত্য নয়। সেখানে কোরআন শরীফের কোনো অবমাননা করা হয়নি।’