বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাল বুনে সময় কাটছে জেলেদের

  •    
  • ৩ নভেম্বর, ২০২০ ১৬:৪৮

কেউ নতুন জাল বুনছেন। আবার অনেকে পুরনো জাল ঠিকঠাক করে নিচ্ছেন। কেউবা পরখ করে নিচ্ছেন জালে কোনো ত্রুটি আছে কি না।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানার আউটার রিং রোড সাগরপাড়ে গিয়ে দেখা গেল, ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা।

মনের আনন্দে গুণ গুণ করে গান গাইতে গাইতে ছেঁড়া জাল মেরামত করছিলেন জেলে কামাল মাঝি। জাল বোনার ফাঁকে কথা হয় তার সঙ্গে।

তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে ইলিশের ভরা মৌসুমে তারা মাছ ধরতে পারছেন না। আয়-রোজগার নেই। অনেকে ঋণ নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। তবুও সরকারি আদেশ তারা অমান্য করছেন না।

নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ামাত্র তারা নৌকা নিয়ে সাগরে বেরিয়ে পড়বেন। আর সেই প্রস্তুতিতেই জাল বোনা আর মেরামত চলছে।

ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ৪ নভেম্বর শেষ হচ্ছে। এরপর সাগরে রওনা হবে উপকূলের হাজার হাজার জেলে। এ জন্য চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে ঝিমিয়ে পড়া চট্টগ্রামের জেলেপল্লীগুলো।

চট্টগ্রামে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ২৬ হাজার ৯৯২। এখানকার জেলেদের বিকল্প কোনো কাজ নেই। মাছ শিকার তাদের একমাত্র পেশা। যখন সাগরে মাছ আহরণের নিষেধাজ্ঞা চলে, তখন তারা জালের রশি বদলানো, ছেঁড়া জাল মেরামত ও মাছ ধরার নৌকা সংস্কার করে।

জাল বুনে সামান্য টাকা আয় হয় জেলেদের। এ টাকায় সংসার চলে না বলে জানিয়েছে তারা। এ জন্য অনেক ঋণের ফাঁদে পা বাড়ায়।

ফিশারীঘাট এলাকার জেলে আমিন মিয়া বলেন, ‘জাল তুনিলি দুই শততে দুইশ পঞ্চাশ টিয়্যা পাই। এগিন দিয়েরে আঁরার ঘর ন চলে। এতল্লাই সুদি গরি টিয়া লই। (জাল বুনলে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ টাকা মজুরি দেয় মাঝি। তা দিয়ে তো সংসার চলে না। এজন্য একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছি।)’

জাল ববোনায় ব্যস্ত এক জেলে। ছবি:নিউজবাংলা 

 

চট্টগ্রামের ফিশারীঘাটে সোমবার গিয়ে দেখা যায়, নোঙর করা ট্রলারগুলো প্রস্তুত হয়ে আছে সাগরে যাওয়ার জন্য। ট্রলারে জাল, জ্বালানি তেল, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলতে ব্যস্ত জেলেরা। মৎস্য আড়ৎগুলোতে জেলেদের নিয়ে হিসাব-নিকাশ করছেন মহাজনেরা।

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষার করতে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ২২ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে সরকার।

চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ কাজ করছে। গত কয়েক বছরের চেষ্টায় মা ইলিশ রক্ষায় সফলতা এসেছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। তারা এখন ডিমওয়ালা ইলিশ শিকার থেকে বিরত থাকছেন। তাই নির্বিঘ্নে মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পারছে।

মৎস্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আশ্বিনের পূর্ণিমার আগে ও পরে ৮০ শতাংশ মা ইলিশ মিঠাপানিতে এসে ডিম ছাড়ে। এ জন্য আশ্বিনের পূর্ণিমার চার দিন আগে এবং পূর্ণিমার পরে ১৮ দিন মিলিয়ে ২২ দিন বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় অঞ্চল ও দেশের সব নদ-নদীতে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ।

এ বিভাগের আরো খবর