গণসংযোগে প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগের বাধা, পাল্টা কর্মসূচি ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানোর বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নালিশ দিলেও কোনো সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় জিয়ানজিয়ান চায়নিজ রেস্টুরেন্টের সামনের সড়কে সংক্ষিপ্ত এক পথসভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
এর আগে ১ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন সড়কে গণসংযোগ করেন বিএনপির এই প্রার্থী।
সকাল ১০টায় জাহাঙ্গীর হোসেনের উত্তরখান মাজার থেকে গণসংযোগ শুরু কথা ছিল। কিন্তু সেখানে আওয়ামী লীগের বাধার কারণে গণসংযোগ না করে বিকল্প হিসেবে উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরে গণসংযোগ করেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ধানের শীষের পক্ষে আমাদের গণসংযোগে লাখো জনতার জমায়েত দেখে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভয় পেয়ে গেছে। যেখানে আমরা পুলিশের অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি দিচ্ছি, সেখানে তারা হামলা করছে। আবার পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। এগুলো কিসের আলামত? এগুলো গণতন্ত্রের আলামত নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিলেও কমিশন তা পাত্তা দিচ্ছে না। যখন যাই তখন খুব ভালো ভালো কথা বলে। কথা বলা পর্যন্তই থাকে। কমিশন কোনো সহযোগিতা করছে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য নির্বাচন কমিশন কোনো কাজই করছে না।’
জাহাঙ্গীর বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশ, দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশ, জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও মানুষের ভোটাধিকার রক্ষা করতে হবে। যে দেশ স্বাধীন করেছেন আমার নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তম, সে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজনে জীবন দেব। আমরা অবশ্যই আমার নেত্রীর নির্দেশে গণতন্ত্র রক্ষা করব।’
বিএনপির এ প্রার্থী বলেন, বিগত দিনে যত নির্বাচন হয়েছে, জনগণ যেসব নির্বাচনে স্বাধীনভাবে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছে, ততবারই ঢাকার এই আসন থেকে ধানের শীষ জয়লাভ করেছে; খালেদা জিয়ার প্রার্থীকে ভোট দিয়েছে। এবারও যদি জনগণ ভোট দিতে পারে, তাহলে তারা ধানের শীষে ভোট দেবে।
পথসভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম, ঢাকা সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।