বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চার নেতার ১০ খুনির সাজা কার্যকর হয়নি এখনও

  •    
  • ৩ নভেম্বর, ২০২০ ১৪:৫৩

ইতিহাসের কলঙ্কজনক জেল হত্যার ঘটনায় ফাঁসি ও যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে ১০ জন এখনো পলাতক। এ মামলার বেশ কয়েকজন আসামি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলারও আসামি।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামিদের অনেকেরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। তবে জেল হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বড় অংশই পলাতক।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয়, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে।

এ ঘটনায় মামলার ২৩ বছর পর ১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. মতিউর রহমান রায় দেন। এরপর ২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায় দেয় হাইকোর্ট।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন (লিভ টু আপিল) করা হয়। পরে আপিলের দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল তখনকার প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় বিচারকের বেঞ্চ ২০ আসামির মধ্যে তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং এবং ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।

মুত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন রিসালদার মোসলেম উদ্দিন, দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার আবুল হাশেম মৃধা।

আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এমএইচএম বি নূর চৌধুরী, এএম রাশেদ চৌধুরী, আবদুল মাজেদ, আহমদ শরিফুল হোসেন, মো. কিসমত হোসেন, নাজমুল হোসেন আনসার, সৈয়দ ফারুক রহমান, শাহরিয়ার রশিদ, বজলুল হুদা ও একেএম মহিউদ্দিন।

এই মামলায় সাবেক মন্ত্রী কেএম ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর ও তাহেরউদ্দিন ঠাকুরকে খালাস দেয়া হয়।

২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়৷ এরা হলেন কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান, কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, লে. কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন আহমদ (ল্যান্সার), মেজর (অব.) এ কে বজলুল হুদা এবং মেজর (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন (আর্টিলারি)।

এছাড়া, চলতি বছর পলাতক আসামি আবদুল মাজেদকে গ্রেফতার করে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। পলাতক অবস্থায় খুনিদের একজন আবদুল আজিজ পাশা ২০০১ সালের ২ জুন জিম্বাবোয়েতে মারা গেছেন৷

জেলহত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তিন আসামির সবাই পলাতক। তারা হলেন, মোসলেম উদ্দিন, মারফত আলী শাহ ও আবুল হাসেম মৃধা। এছাড়া, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে সাতজনও পলাতক। তারা হলেন, খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এমএইচএম বি নূর চৌধুরী, এএম রাশেদ চৌধুরী, আহমদ শরিফুল হোসেন, কিসমত হোসেন ও নাজমুল হোসেন আনসার৷

তারা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছেন৷

জাতীয় চার নেতার অন্যতম এএইচএম কামারুজ্জামানের ছেলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পলাতক আসামিরা যে সব দেশে আশ্রয় নিয়ে আছে সেগুলো লোকেট (শনাক্ত) করা হয়েছে এটা আমরা সবাই জানি। আর যাদের সন্ধান নেই তাদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। আমি মনে করি এই রায়ের দণ্ড কার্যকরের জন্য আর বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না।’

লিটন বলেন, ‘জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডসহ জেল হত্যায় যারা সম্পৃক্ত এবং পরোক্ষভাবে ছিলেন তাদের সবাইকে চিহ্নিত করার ব্যাপারে একটা দাবি উঠেছে। এ জন্য কমিশন করার যে দাবি উঠেছে তার সঙ্গে আমি একমত।’

এ বিভাগের আরো খবর