পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনছার উদ্দিন মোল্লাকে মারধরের মামলায় কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন হাওলাদারের জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে পটুয়াখালী জ্যেষ্ঠ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আমলি আদালতের বিচারক মো. শিহাব উদ্দিন এই রায় দেন।
এর আগে ভোরে বরিশাল লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, মঙ্গলবার ভোরে বরিশাল লঞ্চঘাট এলাকা থেকে পুলিশ সুপার (এসপি) মইনুল হাসানের নির্দেশে পটুয়াখালী সদর ও বাউফল থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরও জানান, তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় এসপির নির্দেশে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা থেকে লঞ্চে করে বরিশাল আসছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোররাত চারটা থেকে পুলিশ বরিশাল লঞ্চঘাটে অবস্থান নেয়। পরে ভোর পাঁচটার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাউফল উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আনছার উদ্দিন কনকদিয়া বাজারে যান। ওই সময় কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিনের সঙ্গে দেখা হয়। তাদের কথা বলার একপর্যায়ে চেয়ারম্যান শাহিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় আনছার উদ্দিন প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় মামলা করেন আনছার উদ্দিন।
শুক্রবার শাহিন হাওলাদারের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি নিউজবাংলাকে জানান, কৃষি কর্মকর্তা মুঠোফোনে তার সঙ্গে এক দিন অশোভন আচরণ করেন। বিষয়টি নিয়ে একপর্যায়ে উচ্চবাচ্য হয়। কিন্তু তাকে মারধরের ঘটনা সত্য নয়।
গত দুই দিন বাউফলে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালিত হয়েছে। চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে গ্রেফতারের দাবিতে কৃষি বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। অন্যদিকে চেয়ারম্যান শাহিনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে স্থানীয়রা মানববন্ধন করে।