লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে শহীদুন্নবী জুয়েল হত্যা মামলায় গ্রেফতার পাঁচ জনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার লালমনিরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৩-এর বিচারক ফেরদৌসী বেগম এ আদেশ দেন।
ওই পাঁচ জন হলেন রফিক ইসলাম ওরফে এলাইস রফিক, আশরাফুল ইসলাম, বায়েজিদ ইসলাম, মাসুম আলী ও শফিকুল ইসলাম।
পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) আদালতে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে। আদালত তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়।
আদালতে আট জনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। কিন্তু বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খাদেম জোবেদ আলী, আনোয়ার হোসেন ও মেহেদি হাসান রাজুর রিমান্ড শুনানি হয়নি।
এর আগে সোমবার গভীর রাতে হত্যা মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক তিনজনসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্করা হলেন আহিদুল ইসলাম, আলাল হোসেন ও মো. নুরুজামান। তাদের বিকেলের দিকে লালমনিরহাটে নিয়ে আসা হবে।
এ নিয়ে শহীদুল হত্যা মামলায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
রোববার মধ্যরাতে বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খাদেম জুবেদ আলীসহ আরও পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গত ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে তর্কাতর্কির পর ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শহীদুন্নবী জুয়েলকে। পরে তার দেহে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান ছিলেন শহীদুন্নবী জুয়েল।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হয় তিনি একজন ধার্মিক ব্যক্তি। পরিচিতজনরা বলেছেন, তিনি নিয়মিত নামাজ পড়তেন।
বৃহস্পতিবার আসরের নামাজ পড়তে শহীদুন্নবী জুয়েল বুড়িমারী কেন্দ্রীয় মসজীদে যান। সেখানে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে কোরআন অবমানার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।