ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) দশটি অঞ্চলে পরিচালিত বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের (চিরুনি অভিযান) প্রথম দিনে ৯৪টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।
সোমবার মোট ১৩ হাজার ৮২৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেছে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত। যার মধ্যে আট হাজার ৭১৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। মহাখালী অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ৩৯টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিসের লার্ভা মেলে।
অভিযানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় সবগুলো অঞ্চলে ১৬টি মামলার মাধ্যমে প্রায় তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
চলমান করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে নতুন আতঙ্ক হয়ে ফিরে এসেছে ডেঙ্গু। সাধারণত বর্ষা শেষে মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ কমতে শুরু করে। কিন্তু এই সময়েই এবার প্রাণঘাতী রোগটি বেশি দেখা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ১ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে দেড়শ জনের বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ঢাকার একটি হাসপাতালে একজন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সব এলাকায় ১০ দিনের বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএনসিসি। যা চলবে আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত।
প্রথম দিনের অভিযান প্রসঙ্গে ডিএনসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই অভিযানে বিভিন্ন বাড়ি ও স্থাপনায় জমে থাকা পানি ফেলে দিয়ে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
এই অভিযান পরিচালনার জন্য ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডের প্রতিটিকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি সেক্টরকে ভাগ করা হয়েছে ১০টি সাব সেক্টরে।
প্রতিদিন একেকটি ওয়ার্ডে ৪০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০ জন করে মশককর্মী অভিযানে যুক্ত। তারা বিভিন্ন বাড়ি, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এডিস মশার লার্ভা আছে কি না, কোথাও তিন দিনের বেশি সময় ধরে পানি জমে আছে কি না, অথবা ময়লা-আবর্জনা আছে কি না- তা পরীক্ষা করে দেখছেন।
কোথাও এডিস মশার লার্ভা কিংবা বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে তার ছবি, ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে একটি অ্যাপে সংরক্ষণ করছে ডিএনসিসি। যা দিয়ে অভিযান শেষে একটি ডাটাবেস তৈরি করা হবে পরবর্তী অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য।